মনোজিতের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হল বৈশাখীর, যেকোনও রকমের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত শোভন


ODD বাংলা ডেস্ক: বুধবার আলিপুর আদালত বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মনোজিৎ মণ্ডলের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করে। এর ফলে এখন থেকে আইত আর স্বামী-স্ত্রী নন মনোজিৎ-বৈশাখী।এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখনও আলিপুর আদালতেই চলছে। বৈশাখীর বিচ্ছেটদের পর শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন,নিজের সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই বান্ধবী ও তাঁর সন্তানের যে কোনও রকম দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তিনি। 

প্রসঙ্গত, স্বামী মনোজিৎ অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এমন দাবি করে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৈশাখী। ওই মামলায় মিউচুয়াল ডিভোর্সের পক্ষেই বুধবার রায় দিয়েছে আদালত। 

শোভন-বৈশাখী দু’জনেই এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর  কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন বলেন, ‘‘বৈশাখী যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তার অবসান হল। অনেক অসত্য কথা বলা হয়েছিল। চক্রান্তও হয়েছিল। আমি একটা কথা বলতে পারি— যে কোনও পরিস্থিতিতে দায়িত্ববোধ নিয়ে সচেতন আমি।’’

শোভন আরও জানান, খারাপ সময়ে বৈশাখী যে ভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তা তিনি ভুলে যাননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আগেও বলেছিলাম, যাকে বুক দেখাই, তাকে কখনও পিঠ দেখাই না। বৈশাখীর ঋণ আমি কোনও দিন শোধ করতে পারব না।'' এদিকে বৈশাখী বলেন, ‘‘আমার মেয়ের জন্য কোনও দিন কারও থেকে কিছু নিইনি। এখনও কিছু নিতে চাই না। আমার সন্তানের জীবনে যদি কারও অবদান থেকে থাকে, সেটা আমার মা আর শোভনের। মেয়ের জন্য টাকা দাবি করা মানে আমায় আর মেয়েকে ছোট করা। আমি যখন (কলেজের চাকরি থেকে) সাসপেনশনে ছিলাম, তখনও মেয়ে আমারই দায়িত্বে ছিল। এখনওও আমারই দায়িত্বে থাকবে। শোভন এসে অনেক দায়িত্ব নিয়েছে। আমি মনোজিতের থেকে কোনও টাকা চাইনি। মেয়ের জন্য টাকা নেওয়া আত্মসম্মানে লাগে। কিন্তু বিচারকের উপর কথা বলতে পারি না।’’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.