মানুষের মূত্র দিয়ে কী করা হত? রোমানদের ইতিহাসে অবাক হবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: আয়ুর্বেদ বলে ইহজগতের সকলই ঔষধি৷ যদি সঠিক অনুপানে ব্যবহার করতে জানো। কিন্তু তাই বলে মানুষের মূত্র দিয়ে দাঁত মাজবে মানুষ! শুনলেই গা ঘিনঘিন করে ওঠে, বমি পায়। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষ বিচিত্র প্রাণী৷ ফলে প্রাচীন রোমানরা সেই কাজ করেছে এবং উপকৃত হয়েছে বলেই দাবি। মানুষের মূত্র বা প্রস্রাবকে দাঁতের মাজন হিসেবে ব্যবহার করত তারা৷ লন্ড্রির কাজেও ব্যবহার করা হত মানুষের মূত্রকে।
লন্ড্রির কথা পরে হবে। আগে বলা যাক মাজনের কথা। আসলে রোমানদের ধারণা ছিল, মূত্র দাঁত ঝকঝকে ও মজবুত করতে সক্ষম। সেই কারণেই তারা মূত্রকে কাজে লাগাত। মাউথওয়াশ ও টুথপেস্ট হিসেবে ব্যবহার করত। জানা যায়, সেকালে সবচেয়ে দামি ছিল পর্তুগিজ মূত্র। তাতে নাকি কাজ হত সবচেয়ে ভাল। ফলে কদরও ছিল বেশি। আর লন্ড্রির ব্যাপারটা কেমন?
মনে রাখতে হবে, সেকালে আজকের মতো এমন হাজার গন্ডা ডিটারজেন্ট কোম্পানি ছিল না৷ কিন্তু জীবনের নিয়মে জামাকাপড় তো নোংরা হত। তবে কী করা? রোমানরা দেখেছিল মানুষের মূত্রের সংস্পর্ষে এলে ঝকঝকে হয় পোশাক। এতএব, দাঁত ও লন্ড্রি দুই প্রয়োজনে শুরু হল মূত্র সংগ্রহের কাজ।
রীতিমতো পরিকল্পনা মাফিক নগরের প্রধান সড়কগুলির পাশে কিছু দূর অন্তর রাখা থাকত মাটির পাত্র ৷ নিয়ম করে সেখানেই প্রস্রাব করত নগরবাসী৷ সেই মূত্রই পরে কাজে লাগানো হত জামাকাপড় কাচা ও দাঁত মাজার কাজে।
এমনকি লন্ড্রি ব্যবসায়ীরাও মূত্র সংগ্রহ করত রাস্তার ধারের ওই মূত্রপাত্র থেকে৷ সংগ্রহের পর প্রথমে সেই মূত্র থিতানোর সময় দেওয়া হত। তারপর ব্যবহার করা হত। প্রশ্ন হল, রোমানরা এই যে লন্ড্রির কাজে মূত্রকে ব্যবহার করত, তার সঙ্গে কি বিজ্ঞানের বিন্দুমাত্র সংযোগ আছে?
আছে। আসলে মূত্রে অ্যামোনিয়া থাকে। এই অ্যামোনিয়াই কিন্তু আজকের দিনের বেশিরভাগ ক্লিনারে ব্যবহার করা হয়। সেই কারণেই রোমানদের জামাকাপড় ও দাঁত ঝকঝক করত। এবং বহুল ব্যবহার ছিল মূত্রের।
যা নজরে আসে রাজা মশাইয়েরও। তার কাজ তো মূলত কর বাসনো। তো রোমান রাজাও তাই করলেন। জানা যায়, রোমান আমজনতা প্রচুর পরিমাণ মূত্র ব্যবহার করছে জানতে পেরে তৎকালীন রোমান সম্রাট মূত্রের উপর চড়া কর বসান৷
Post a Comment