যেসব কারণ রক্তদানে ঝুঁকি বাড়ায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কোনো মানুষকে রক্তদান করে তাকে বাঁচিয়ে তোলার মতো মহৎ কাজ আর নেই। জীবন-মুত্যুর সন্ধিক্ষণে একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করাটা সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু যে কেউ চাইলেই রক্তদান করতে পারবে না। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই নিয়ে রয়েছে বিশেষ কিছু বিধিনিষেধ।


একজন সুস্থ মানুষের শরীর থেকে একবারে এক ইউনিট রক্ত নেওয়া হয়। এই রক্ত দাতার দেহে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় তৈরি হয়ে যায়। তাই রক্তদানের ফলে দাতার কোনো ক্ষতি হয় না। বরং তার সুস্থতার হার বাড়ে দ্বিগুণ। তবে একজন রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে কোনো চিকিৎসকই আরেকজনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চান না। তাই যাদের রক্তদানে ঝুঁকি রয়েছে তাদের রক্তদান না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।


রক্তদানের পর জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে এমন মানুষকে রক্ত দানে নিরুৎসাহিত করা হয়। সাধারণত ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে সব সুস্থ মানুষই রক্ত দিতে পারবেন। তবে তাদের অবশ্যই কমপক্ষে ৪৫ কেজি ওজন হতে হবে।


বিশেষজ্ঞরা জানান, জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় রক্ত দেওয়া যাবে না। কিংবা রক্তদানের আগের ছয় মাসের মধ্যে যদি ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করানো হয়, তা হলেও রক্তদানে বিরত থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া রক্তদান করার আগের ২৪ ঘণ্টায় মদপান করা চলবে না। সেই সঙ্গে কারও যদি ধূমপান করার বদঅভ্যাস থাকে তবে রক্তদান করার দু’ঘণ্টা আগে ধুমপান থেকে দূরে থাকতে হবে।


অন্তঃসত্ত্বা মা, সদ্য মা হয়েছেন এমন নারীদের রক্তদান থেকে বিরত থাকা উচিত। গর্ভপাত হয়েছে এমন নারীর ছয় মাস অতিক্রম না হলেও রক্ত দান করা যাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া হেপাটাইটিস বি, রেবিজ টিকা নেওয়ার পর ছয় মাস রক্তদান করা উচিত নয়। তবে কোভিডের টিকা নেওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর রক্ত দান করা যেতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় এমন অসুখ থাকলে তিনি রক্তদান করতে পারবেন না। এইডস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, এপিলেপ্সি, কিডনির অসুখ থাকলেও রক্তদান করা যায় না।। যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে রক্ত দেওয়ায় নিষেধ রয়েছে তাদেরও। হাঁপানি, টিবি বা কোনো ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও রক্তদান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.