স্ত্রীর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা, নৃশংস অত্যাচার! পুলিশের জালে কলকাতার ব্যবসায়ী


ODD বাংলা ডেস্ক: খাস কলকাতার বুকে গৃহবধূর উপর নৃশংস অত্যাচার। সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে ওই মহিলার শরীরে দগদগে ঘা ও সঙ্গে মারধরেরও অভিযোগ। এমনকী শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধেও উঠছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। গৃহবধূর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। আর স্ত্রীর ওপর অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন কলকাতার অভিজাত এলাকার এক ব্যবসায়ী,সুমিত আগরওয়াল।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণীর সঙ্গে ব্যবসায়ী সুমিতের বিয়ে হয় ২০০০ সালে। বিয়ের পর থেকে পণের জন্য অত্যাচার চলত। তবু অশান্তি এড়াতে সমস্ত অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে নেন তিনি। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার বাড়তেই থাকে।এমনকি তাঁর শ্বশুরবাড়ির এক সদস্য তাঁকে বাড়িতে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। 

এরপর স্বামীকে বিষয়টি জানালে তাঁকে ধমকাতে শুরু করেন। স্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন, এই অভিযোগ তুলে স্ত্রীর উপর শুরু করেন অত্যাচার। বিয়ের কুড়ি বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও অত্যাচার থামেনি। স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দগদগে ঘা হয়ে যায়। এরপর গত বছর শেক্সপিয়র সরণি থানায় স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, আইনিভাবে নিজেদের বাঁচাতে অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে আদালতের দ্বারস্থ হন। মহিলার শ্বশুর বয়সজনিত কারণে আদালত থেকে আগাম জামিন পান। নিম্ন আদালত মহিলার স্বামীর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। হাই কোর্টেও আবেদন জানান ব্যবসায়ী সুমিত আগরওয়াল। কিন্তু হাই কোর্টও ওই অভিযুক্তকে রক্ষাকবচ দেয়নি। এরপরই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.