বুকের ব্যথায়, দেরি নয়

ODD বাংলা ডেস্ক: বুক ব্যথা অনেক রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই ব্যথা হলে কোনো সময় ক্ষেপণ না করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কারণ

হার্ট অ্যাটাক, হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া, হৃৎপিণ্ডের ভালভের কোনো সমস্যা, হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ, খাদ্যনালির প্রদাহ, খাদ্যনালিতে ফুটো হলে, ফুসফুসের ক্যান্সার, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ভেতর বাতাস বা জল জমলে, বুকের মাংসপেশিতে ব্যথা, পাঁজরের হাড়ে আঘাত পেলে, বক্ষপিঞ্জরে মেরুদণ্ডের ডিস্কের সমস্যা, পেটের আলসার, পাকস্থলীর এসিড কোনো কারণে খাদ্যনালিতে উঠে এলে, অগ্ন্যাশয় ও পিত্তথলির প্রদাহ এবং মানসিক উদ্বেগ থেকে বুকে ব্যথা হতে পারে।

এসবের মধ্যে হৃদরোগজনিত বুকের ব্যথা আমাদের সবচেয়ে বেশি ভয়ের কারণ।বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। এগুলো দ্রুত চিহ্নিত করা জরুরি।

লক্ষণবুকে চাপ চাপ ব্যথা অনুভূত হওয়া, যা বুকের এক পাশে বা বুকজুড়ে থাকতে পারে। এই ব্যথা অনেক সময় বাম হাত, গলা, নিচের চোয়াল এমনকি ডান হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে
-    পেটের উপরিভাগেও এই ব্যথা থাকতে পারে

-    নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা

-    বুক ধড়ফড় করা বা অস্থির লাগা

-    ঘাম হওয়া

-    বমি বমি ভাব হওয়া

-    মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম করা

-    সাধারণত ডায়াবেটিক ও বয়স্ক রোগীরা এই ব্যথা অনুভব করতে পারেন না। হার্ট অ্যাটাক হলে তাঁরা ঘামতে থাকেন এবং ক্লান্তি অনুভব করেন।
করণীয়
কোনো কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে তা অনেক সময় রোগী বা তাঁর স্বজনরা বুঝতে পারেন না। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। বুকের ব্যথাকে হৃদরোগ থেকে সৃষ্ট ব্যথা মনে হলে, রোগীকে ৩০০ গ্রাম এসপিরিন ওষুধ খাইয়ে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.