সেতুতে উঠলেই আত্মহত্যা করে কুকুর!
ODD বাংলা ডেস্ক: রহস্যে ভরা এই বিশ্বে চমকে দেওয়ার মত কত ঘটনাই তো ঘটে! এর কিছুর যুক্তি মেলে, কিছু আবার যুক্তির বাইরেই থেকে যায়। যেমন আজও কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, স্কটল্যান্ডের ওভারটাউন সেতুতে উঠলেই কেন আত্মহত্যা করে কুকুর।
গল্প নয়, সত্যি ঘটনা এটি। ১৯৫০ সাল থেকে এই ঘটনা ঘটে আসছে স্কটল্যান্ডের ওভারটাউনের সেতুটিতে।
স্থানীয়দের দাবি, গেল ৭০ বছররে এই সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছে তিনশোরও বেশি কুকুর। কেউ আবার সংখ্যাটিকে দ্বিগুন অর্থাৎ ছয়শোরও বেশি বলে দাবি করেন।
২০১৪ সালে নিজের পোষা কুকুর নিয়ে ওভারটাউন ব্রিজে গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দা এলিস ট্রাভেরো। তিনি জানান, সেতুতে ওঠার পর থেকেই নাকি তার শান্ত কুকুরটি বিচলিত হয়ে উঠেছিল। এ সময় কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকার পর তার কুকুর সোজা ঝাঁপ দেয় নিচে।
ব্রিজের নিচে একটি নদী রয়েছে, কিন্তু তা বছরের বেশিভাগ সময়ই শুকনা থাকে। শুকনা এই নদীতে মাটির বদলে রয়েছে পাথর। সেখানেই ঝাঁপ দেয় কুকুরগুলো। এতে বেশিরভাগ কুকুরের মৃত্যু হয়। আর যারা বেঁচে যায়, তারা নাকি পরে আবারও ওই সেতু থেকে ঝাঁপ দেয়।
এ থেকেই স্থানীয়দের ধারণা বিশ্বাসে রূপ নিয়েছে যে, কুকুরগুলো আত্মহত্যার চেষ্টাই করে। এ অবস্থায় এখন সেতুটির নামই হয়ে গেছে 'ডগ স্যুইসাইড ব্রিজ'।
সেতুটিকে মূলত অভিশপ্ত বলেই মনে করেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা মনে করেন, সেতুটির পাশের ওভারটাউন হাউজের মালিক মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী শোকে কাতর হয়ে দিনের পর দিন একা কাটিয়েছিলেন। এই অবস্থাতে তারও মৃত্যু হয় এবং তার অতৃপ্ত আত্মার প্রভাবেই নাকি এমন ঘটনা ঘটে।
এ সব কিছুই মানতে নারাজ যুক্তিবাদীরা। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেও মনে করেন তারা। এ জন্য যক্তিবাদীরাও একটি যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। তারা মনে করেন, ব্রিজের পাশে সিমেন্টের চওড়া প্রাচীর রয়েছে। কুকুরগুলো হয়তো সেই প্রাচীর ও রাস্তার পার্থক্য বুঝতে পারেনা, এ কারণেই ঝাঁপ নয়, লাফ দেয়। যার ফলে মৃত্যু হয়।
Post a Comment