কালো জাদুতে রহস্যময়ী ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী, বাড়িতে পোড়ান কয়েক টন মুরগি

ODD বাংলা ডেস্ক: অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন এক সময় ২২ গজের ক্রিকেট পিচ দাঁপিয়ে বেড়ানো খেলোয়াড় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, তখ্‌‌ত ধরে রাখতে যতটা সক্রিয় ছিলেন ইমরান খান তার কিছু মাত্র কম ছিলেন না স্ত্রী বুশরা বিবি। বিরোধীরা বলছেন, স্বামীর গদি বাঁচাতে ‘কালো জাদু’, তুকতাক কিছুই বাদ দেননি বুশরা বিবি ওরফে পিঙ্কি পিরনি।

২০১৮ সালে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের ইমরান ও বুশরার বিয়ে হয়। বিয়ের আসর বসে বুশরার বান্ধবী ফারহা খানের বাড়িতে। বুশরা ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে ইমরান ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন ব্রিটিশ ফিল্ম, টিভি প্রযোজক জেমাইমা গ্লোডস্মিথকে। ২০১৪ সালে প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক বিয়ে করেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি সংবাদিক রেহাম খানকে।

ইমরানও বুশরা বিবির প্রথম স্বামী নন। ১৯৮৯ সালে তিনি খাওয়ার মানেকা নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। মানেকা আবার বেনজির ভুট্টোর জমানার এক মন্ত্রীর ছেলে। ২০১৭ সালে মানেকার সঙ্গে বুশরার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। প্রথম বিবাহ সূত্রে বুশরার তিন কন্যা এবং দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।

রেহামের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই ইমরানের বুশরার প্রেমে পড়েন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম দাবি করেন, বিয়ের আগে তিন বছর ধরে বুশরার সঙ্গে ডেটিং করে করতেন ইমরান। তবে ইমরান খানের দাবি, বিয়ের আগে পর্যন্ত তিনি নাকি বুশরার মুখ দেখেননি!

পাকিস্তানে বুশরা বিবির আর এক পরিচয় ‘পিঙ্কি পিরনি’ হিসেবে। তাকে নিয়ে আমজনতার মধ্যে প্রচুর কৌতূহল রয়েছে। তিনি নাকি মন্ত্র-তন্ত্র, যাদুবিদ্যায় পারদর্শী! তিনি নাকি আত্মাদের সহযোগিতায় মানুষের রোগ, ব্যধি সারাতে পারেন! আর সেই কারণেই পাকিস্তানে তাকে পিঙ্কি বিরনি অর্থাৎ পবিত্র নারী বলে সম্বোধন করা হয়!


বুশরাকে বিয়ের আগেই পাক মসনদে বসেন ইমরান। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পিঙ্কি পিরানি নাকি আগেই বলে দিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন। তার ভবিষ্যদ্বাণী মিল যাওয়ায় বুশরার প্রতিটি কথা মেনে চলতে শুরু করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

জানা যায়, বিয়ের পর দলে সমান্তরাল শাসন চলাতে শুরু করেন ইমরানের স্ত্রী। দলে তাকে ‘গডমাদার’ বলা হত। কানাডাবাসী পাক লেখক তারেক ফতেহ্‌ একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বুশরা বিবি যা বলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন ইমরান।’’

স্বামীর গদি বাঁচাতে বুশরা লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছেন। সপ্তাহখানেক ধরে ইমরান যখন নানাভাবে গদি বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন্‌ তখন বুশরা নাকি বাড়িতে ‘কালো জাদুর’ প্রয়োগ করেছেন।

এক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাড়িতে কয়েক টন মুরগি পুড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও স্বামীর গদি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কোনো বিশেষ শক্তিকে জাগাতে গেলে জীবন্ত প্রাণী উৎসর্গের বিষয়টি অবশ্যই অতি প্রাচীন জাদু-বিশ্বাস। পিঙ্কি পিরনি কি সেই প্রাচীন বিদ্যা প্রয়োগ করে স্বামীর গদি বাঁচাতে তৎপর হয়েছিলেন?

বুশরার কালো জাদু বা ডাকিনীবিদ্যা যে কোনো কাজেই আসেনি, তা সাম্প্রতিক ঘটনাবলিই জানাচ্ছে। মেয়াদ শেষ করার আগেই ইমরানকে গদি ছাড়তে হয়েছে। ‘পিঙ্কি পিরনি’ এবং তার কালো জাদু নাটাগরিকদের হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.