রোজ সকালে কিছু না করে কেবল এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকুন, তারপর দেখুন ম্যাজিক!
১) এক পায়ে দাঁড়ান। ১০ সেকেন্ড পর অন্য পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ান। এভাবে ৫-১০ বার করুন। চেয়ারের পেছনে বা দেয়ালের পাশে এ ব্যায়াম করুন, যেন প্রয়োজনে চেয়ার বা দেয়াল ধরে ভারসাম্য রাখতে পারেন। ধীরে ধীরে ১০ সেকেন্ডের চেয়ে বেশি সময় ধরে এক পায়ের ভরে দাঁড়ানোর অভ্যাস করুন।
২) দুই পা একটু ফাঁক রেখে দাঁড়ান। বাঁ হাতে একটি ডাম্বেল ধরে থাকুন। বাঁ হাতের তালু ওপরের দিকে থাকবে। এবার ডান পা ওপরে তুলুন এবং ডান হাঁটু ভাঁজ করুন। এ অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত থাকুন। একইভাবে ডান হাতে ওজন নিয়ে বাঁ পা ওপরে তুলে বাঁ হাঁটু ভাঁজ করুন। এভাবে প্রতিদিন তিন-পাঁচবার ব্যায়াম করতে পারেন। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বাড়ান। পরে যে হাতে ওজন তুলছেন, সেই দিকেরই পা তুলে হাঁটু ভাঁজ করে ব্যায়ামটি অভ্যাস করতে পারেন।
৩) চেয়ারের পেছনে দাঁড়ান, দুই পা একটু ফাঁক রেখে। এবার দুই হাতে চেয়ারের পেছনটা ধরে ধীরে ধীরে পায়ের আঙুলের ভরে দাঁড়ান। অর্থাৎ গোড়ালি দুটো ধীরে ধীরে ওঠান এবং আবার নামিয়ে আনুন। এভাবে ১০ বার করুন।
৪) চেয়ারের পেছনে দাঁড়িয়ে দুহাতে চেয়ারের পেছনটা ধরে একইভাবে ভারসাম্য রেখে ধীরে ধীরে ডান পা পেছাতে থাকুন যতটা সম্ভব, এ সময় ডান পায়ের আঙুল মেঝেতে থাকবে। এরপর ডান হাঁটু ভাঁজ করে গোড়ালিটাকে পশ্চাদ্দেশে স্পর্শ করাতে চেষ্টা করুন। একই নিয়মে দুই পায়ের ব্যায়াম করুন ১০ বার করে।
৫) একটা লাইন ধরে এমনভাবে হাঁটুন, যেন এক পায়ের গোড়ালি অন্য পায়ের পাতার ঠিক সামনে থাকে। ১০ পা হাঁটার পর ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গিয়ে একইভাবে আরও ১০ পা হেঁটে প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন। হাঁটার সময় ভারসাম্যের জন্য দুহাত পাশে ছড়িয়ে দিতে পারেন; আশপাশে চট করে ধরে ফেলার মতো কোনো কিছু রাখুন।
তবে যেকোনও ব্যয়াম করার আগে, তা আপনার উপযুক্ত কি না, তা একবার বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নিন।
Post a Comment