মর্নিংওয়াক বা ব্যায়াম হয় না? সকালের যৌনতাও কম উপকারী নয়
ODD বাংলা ডেস্ক: সকালে কেউ দিন শুরু করেন গরম চা বা কফিতে, কেউ বা আবার জিম ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আবার সকালের হাঁটার জন্য অনেকেই অ্যালার্ম সেট করে নেন। কিন্তু আপনার বিছানা আর আপনার মধ্যে যে প্রেম ভালোবাসা আর আদরের সম্পর্ক, সেটা কমপ্রোমাইজড হয় তো! মুশকিল আসান হতে পারে আপনার আর পার্টনারের একটু সদিচ্ছায়। সকাল সকাল জিম, হাঁটা এসবে ব্যস্তও হতে হবে না, আবার আপনার ক্যালোরিও কমবে চটপট। উপায়! যৌনমিলন বা সেক্স।
চোখ কপালে না তুলে, কিছু জিনিস মেনে চললে আপনার সারাটা দিন বেশ ফুরফুরে কাটতে পারে। এতে মন এবং হরমোন দুইই থাকবে তরতাজা।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
সকাল সকাল শারীরিক মিলনের উত্তেজনায় আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে বেশি, সঙ্গে সেগুলো সারা শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। ফলে আপনার আগের দিন বৃষ্টিতে ভিজে নাক ফ্যাঁচফ্যাঁচ বা খুক খুক কাশি সহজেই আপনাকে টা টা বলে দেবে। কারণ আপনার অর্গাজ়মের সময়ে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলো ঠাণ্ডার জার্মকে তাড়িয়ে দেবে অনায়াসেই। বিশিষ্ট সাইকোথেরাপিস্ট ডাঃ ভিয়ান সানিয়াল এ বিষয়ে বলছেন, সকালের যৌনতা একটি ‘প্লাস প্লাস স্ট্যাটাস’, এসময় হরমোনগুলি তার চরম অবস্থায়, আনকোরা থাকে এবং আপনার সঙ্গীর সঠিক পদক্ষেপে আপনার সন্তুষ্টি বাড়তে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে সকালে আগের দিনের স্ট্রেসগুলো কার্যত একটানে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যায় শুধুমাত্র সেক্সের মাধ্যমেই।
২.সারাদিন মন রাখুন ফুরফুরে
চরম উত্তেজনায় অক্সিটোসিন হরমোন বেশি পরিমাণে বেরিয়ে আসে। এটি একটি শক্তিশালী হরমোন যা কোরিটোসোল সংশ্লেষণের জন্য পরিচিত, যা উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কাছে ঘেঁষতে দেয় না। দৈনিক চাপ থেকে দূরে রাখে আপনাকে। কর্টিসোল হরমোনগুলির গ্লুকোকার্টিকোড জাতীয় স্টেরয়েড হরমোন। ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হলে, এটি হাইড্রোকার্টিসন নামে পরিচিত। এটি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির মধ্যে অ্যাড্রিনাল কর্টেক্সএ তৈরি হয়। দিনের শুরুটা এত এনার্জেটিক হলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার সারাটা দিন ভালো কাটবে।
৩.সারাদিন প্রাণবন্ত দেখতে লাগবে আপনাকে
অফিস বাড়ি সামলে রাতে যখন আয়নার সামনে দাঁড়ান, মনে হয় দেখে ,ইস কী বুড়োটে লাগছে দেখতে! আর তাই সকালে চুল এবং স্কিনের যত্ন নিতে কসমেটিক্স আর মুঠো মুঠো ওষুধ খান? এসব আর লাগবে না। সঙ্গীকে নিয়ে আরও কিছুক্ষণ বিছানাতেই থাকুন। এতে আপনার পোস্ট কয়টাল গ্লো বাড়বে। আর স্কিনের গ্লো বাড়াতে কসমেটিক্সে ভরসা করতে হবে না। কারণ সব কাজ আপনার ফিলগুড হরমোনই দায়িত্ব নিয়ে করে দেবে।
৪.নিজেকে স্ট্রেস ফ্রি রাখুন
সারাদিন ধরে কাজের চাপ নিতে নিতে খুবই ক্লান্ত আপনি, বাড়ি ফিরে ওয়াইন নিয়ে নিজেকে স্ট্রেস ফ্রি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন? বেকার খরচ করতে হবে না। সাহায্য নিন প্রিয় সঙ্গীর, প্রিয় বিছানার। সকালটা মিস করে গেলে সন্ধেটা কাজে লাগান না। আপনার যখন সন্ধের সেক্সেও অক্সিটোসিন নামক ফিলগুড হরমোন ঝরছে, তখন আপনার অ্যাঙজা়ইটি কমছে, ডিপ্রেশন কমছে। আর বাকি দিনটা মন থাকছে ফুরফুরে।
৫.তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন
বাড়ি ফেরার তাড়া থাকবে যদি সঙ্গী অপেক্ষায় থাকেন। আপনি সারাদিনই এই সময়টার অপেক্ষাতেই থাকেন হয় তো। তাহলে এই ইঁদুর দৌড়ের যুগে যখন আপনারা হয় তো কথা বলার সময়ই পান না, আপনার সম্পর্কটাও বাঁচিয়ে নিতে পারবেন। যত বেশি কথাবার্তা হবে সঙ্গীর সাথে, তত ভালো সময় কাটবে আপনাদের। একসাথে ডিনার করবেন, একসাথে সময় কাটাবেন। আর অক্সিটোসিনের পরিমাণ বাড়বে দুরন্ত গতিতে। কারণ আপনি তখন শরীরে শরীরে ছবি আঁকতে ব্যস্ত। রিলেশনশিপ কাউন্সেলর সুমিত মেহেতাও বলছেন, এই অভ্যাস আপনার সম্পর্কে একটা ডায়নামিক চেঞ্জ আনতে সাহায্য করবে।
৬.ঘুম আসবে ওষুধ ছাড়াইঅনেকেই সাদা ভেড়া গোনেন বা ওষুধ খান ঘুম আনতে। কিন্তু আপনার সেক্স লাইফ যখন সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন সহজেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে হবে, তখন প্রোল্যাকটিন হরমোনও বেশি মাত্রায় বেরোয় শরীর থেকে। তাতে আপনার রাতে আর ভেড়া গুনতে হবে না। এমনিই আসবে ঘুম।
অর্থাৎ মর্নিংসেক্স বা ‘এএম সেক্স’ আপনাকে সারাদিনের এনার্জি দিচ্ছে। তবে সকালটা মিস হয়ে গেলেও সন্ধেটা কাজে লাগান। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন কাছের মানুষের সাথে আনন্দে সময় কাটান। তাতে আপনার অনেক সমস্যাই হাল্কা মনে হবে সারাদিন ধরে।
Post a Comment