পায়ে ২০টি ও হাতে ১৪টি আঙুল তাঁর, ডাইনির অপবাদ নিয়েই জীবন কাটাচ্ছেন এই বৃদ্ধা

ODD বাংলা ডেস্ক: জীবনের যাবতীয় বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ যখন এগিয়ে চলেছেন মানুষ ঠিক তখনই এই সমাজের বুকে এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের শারীরিক কিছু ব্যতিক্রমের কারণে তাঁরা আজও সমাজের মধ্যে থেকেও লুকিয়ে বাঁচেন। ওড়িশার এমনই এক বৃদ্ধা যিনি পায়ে ২০টি এবং হাতে ১২টি আঙুল নিয়ে জন্মেছেন বলেই নিজেকে চার দেওয়ার মধ্যে গুটিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছেন। 

ওড়িশার গঞ্জাম জেলার কাদপদ গ্রামে থাকেন ৬৩ বছরের নায়ক কুমারি। তাঁর কথায় গ্রামবাসীরা মনে করেন তার মধ্যে ডাইনির বাস। আর সেই কারণেই নিজেকে চার দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, টাকা-পয়সার অভাবের জন্যই তিনি নিজের বাহ্যিক রূপের পরিবর্তন করতে পারেননি। তাঁর কথায় জন্মগতভাবেই তাঁরা পায়ে ২০টি এবং হাতে রয়েছে ১২টি আঙুল। চরম দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে তিনি নিজের চিকিৎসাও করতে পারেননি। তাঁর প্রতিবেশিদের কুসংস্কার রয়েছে যে, তিনি নাকি একজন ডাইনি তাই তার থেকে দূরে থাকেন সকলে। তাই সবার নজর থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্যই কিন্তু চার দেওয়ালের ভিতরে নিজেকে বন্দি করেছেন তিনি। 

অবশ্য একজন সহানুভূতিশীল প্রতিবেশী তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কথায়, ছোট্ট গ্রাম, মানুষও খুব বেশি নয়। কিন্তু মানুষের মধ্য কুসংস্কার রয়েছে ভরপুর। আর সেই কারণেই তাঁকে ডাইনি বলে সন্দেহ করে গ্রামবাসীরা। তাঁর অসুখের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও পয়সার অভাবে তিনি নিজের চিকিৎসা করাতে পারেন না।  

যদিও চিকিৎসকদের দাবি মানবদেহে হাতে বা পায়ে একটি বা দুটি অতিরিক্ত আঙুল থাকা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু পায়ে ২০টি এবং হাতে ১২টি আঙুল থাকা সত্যিই বিরল ঘটনা। চিকিৎসার ভাষায় একে বলা হয় পলিড্যাক্টিলির, যার কারণে জন্ম থেকেই অতিরিক্ত আঙ্গুল থাকে। জিনের পরিবর্তনের কারণে এমন ঘটনা ঘটে। যদিও এই ঘটনা একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রতি পাঁচ হাজারের মধ্যে একজন বা দু'জনের এইরকম অতিরিক্ত আঙ্গুল থেকে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.