ভুলেও এই সব রান্না প্রেশার কুকারে করবেন না, হতে পারে বড় ক্ষতি



 ODD বাংলা ডেস্ক: এমন অনেক ধরনের খাবার আছে তা প্রেশার কুকারে রান্না করা একেবারেই ঠিক নয়। আবার অনেকে মনে করেন, প্রেশার কুকারে রান্না করলে, তার খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়।


রান্না করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কোনটার সঙ্গে কী মেশালে খাবারের স্বাদ ভালো হবে তা আন্দাজ করে রান্না করা মোটেও সহজ নয়। যাঁরা রান্না করতে ভালোবাসেন তাঁরাই একমাত্র এগুলি করতে পারেন। তবে ব্যস্ততার এই যুগে ভালো করে রান্না করাও সম্ভব হয় না। অফিসে যাওয়ার তাড়ায় অনেকেই মন খুলে রান্না করতে পারেন না। শুধু তাড়াহুড়ো করে কোনওরকমে একটা রান্না করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তে হয়। তখন শুধুমাত্র পেট ভরানোর কথাই মাথায় থাকে। আর কিছুই থাকে না মাথায়। আর তাড়াতাড়ি খাবার বানানোর অন্যতম উপায় হল প্রেশার কুকার। সব রান্নাই এর মধ্যে সম্ভব হয়। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই হয়ে যায় রান্না।  


অফিসে পৌঁছতে পাছে দেরি হয়ে যায়, তাই একসঙ্গে চাল ডাল প্রেশার কুকারে চাপিয়ে দিলেই ১৫ মিনিটে রান্না শেষ। এরকমটা অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু, এটা কতটা স্বাস্থ্যকর সেটাই হল আসল প্রশ্ন। কারণ এমন অনেক ধরনের খাবার আছে তা প্রেশার কুকারে রান্না করা একেবারেই ঠিক নয়। আবার অনেকে মনে করেন, প্রেশার কুকারে রান্না করলে, তার খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়।


জেনে নিন কোন ধরনের খাবার প্রেশার কুকারে রান্না করবেন না...


দুগ্ধজাত খাবার দ্রুত রান্না করার জন্য প্রেশার কুকার ব্যবহার করা হয়। দুধ অল্পতেই ফুটে উঠে উপচে পড়ে। তাই দুধ দিয়ে তৈরি যে কোনও রান্না প্রেশার কুকারে তৈরি করবেন না। এছাড়া প্রেসার কুকারে এই জাতীয় রান্না করা হলে তার স্বাদও ঠিক থাকে না। কারণ মশলা দেওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দুধ কেটে যায়। তাই প্রেশার কুকারে পুরো রান্না করে নিয়ে স্টিম দেওয়া হয়ে গেলে তারপর তার মধ্যে দুধ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন। এতে সমস্যা হবে না। 


ডিম অনেকেই প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করেন। প্রেশার কুকারে ডিম সেদ্ধ করতে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ডিম সেদ্ধ করতে সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। তাই ডিম খোলা পাত্রে সিদ্ধ করাই সব থেকে ভালো। এতে ডিম ফেটেও যায় না। আর তা সিদ্ধ হল কিনা তাও বুঝতে সহজ হয়। 


সবজি শাকসবজির মধ্যে অনেক পুষ্টি থাকে। এর থেকে উপকারী কিছুই হয় না। তবে এগুলো কখনই প্রেশার কুকারে রান্না করা উচিত নয়। তাতে সবজির ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ ধ্বংস হয়ে যায়। টাটকা সবজির স্বাদও বদলে যায়। তাই এগুলি কড়াইতে দিতেই রান্না করবেন। সময় বেশি লাগলেও তা খেতে ভালো হবে। 


মাছ এমনিতেই খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। প্রেশারে মাছ রান্না করলে বেশি সেদ্ধ হয়ে ভেঙে যেতে পারে। আর মাছ বেশি সেদ্ধ হলে তার স্বাদ চলে যায়। এছাড়া মাছের পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায়। তাই মাছ প্রেশারে করে করার প্রয়োজন নেই। তবে তাড়াহুড়োর মধ্যে যদি একান্তই করতে হয় তাহলে বেশি স্টিম দেবেন না। 


তাড়াতাড়ি হবে বলে অনেকেই ভাত প্রেশার কুকারে রান্না করেন। যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। প্রেশার কুকারে ভাত রান্না করলে অ্যাক্রিলামাইড নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়, যার ফলে আমাদের শরীরে নানা গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে। তাই প্রেশারে ভাত করবেন না। আর এটি যাতে তাড়াতাড়ি হয় তার জন্য সঠিক চাল নির্বাচন করুন। যা খুব সহজেই সিদ্ধ হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.