শুধু বাড়ি নয়, নিজের বাড়িকে বানিয়ে ফেলুন 'স্মার্ট বাড়ি', কীভাবে? দেখে নিন...

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ‘সুখী গৃহকোণ, শোভে গ্রামাফোন’। একসময় এটাই ছিল শান্তির নীড়ের ক্যাচলাইন। এখন সে দিন গিয়েছে। বাড়ি এখন শুধু সুখী গৃহকোণ নয়, সেও স্মার্ট, হাতের স্মার্টফোনের মতোই। রিমোর্ট কন্ট্রোলিং এবং প্রোগ্রামিং ডিভাইসের সাহায্যে একটি বাড়ির হিটিং, কুলিং, লাইটিং, সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করা হয় স্মার্ট হোমে। বাড়ি স্মার্ট হলে সুবিধা অনেক। কিন্তু তাকে স্মার্ট বানাতে তো হবে!


স্মার্ট হোম তৈরির ঝক্কি কম নয়। সেন্সর, স্পিকার, স্মার্ট বাল্ব, সিকিউরিটি ক্যামেরা থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছুকে আনতে হবে এক ছাতার তলায় যাতে একে অন্যের সঙ্গে জুড়তে পারে। আবার সেটা পরিচালিত হবে স্মার্ট ফোনের সাহায্যে। এখানে স্মার্ট হোমের সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল।


স্মার্ট স্পিকার এবং ডিসপ্লে: সিনেমা দেখার সময় সাধারণত আলোটা কমিয়ে দেওয়া বা নিভিয়ে দেওয়া হয়। হলে বসে দেখার মতো অনুভূতি আসে। কিন্তু এজন্য সোফা ছেড়ে উঠে সুইচ বোর্ডের কাছে যেতে হবে। কিন্তু স্মার্ট হোমে সোফায় বসে বসেই শুধু হুকুম করলেই হবে, ‘আলো নিভিয়ে দাও’। সঙ্গে সঙ্গে স্পিকার মারফত সেটা স্মার্টলাইটিংয়ের কাছে পৌঁছে যাবে। তামিল হবে হুকুম।


দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ: অনেক সময় ভুল করে এয়ারকন্ডিশন অন রেখেই বাইরে বেরিয়ে পড়েন। বা পাম্প বন্ধ করতে ভুলে যান। এক্ষেত্রে ফের বাড়িতে ঢুকে এসি বা পাম্প বন্ধ করতে হয়। সময় যায়। বিদ্যুৎ খরচও হয়। স্মার্ট হোমে দূর থেকেই এসি বা পাম্পের সুইচ অফ করে দেওয়া যাবে। শুধু স্মার্ট ফোনে আঙুল ছুঁইয়ে।


সিকিউরিটি ক্যামেরা এবং ভিডিও ডোরবেল: অফিস বা আত্মীয়ের বাড়ি থেকেও নজর রাখা যাবে স্মার্ট হোমে। সাহায্য করবে সিকিউরিটি ক্যামেরা। বাড়িতে বাচ্চা বা পোষ্য থাকলে সে কী করছে, কোথায় যাচ্ছে সব থাকবে নখদর্পণে। এই সময় যদি কেউ বাড়িতে চলে আসে ভিডিও ডোরবেলের সাহায্যে তাকে জানিয়ে দেওয়া যাবে, ‘এখন নয়, পরে আসুন’।


স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টরস: এটা অ্যালার্মের মতো কাজ করে। বাড়িতে সামান্যতম বিপদের আভাস পাওয়া গেলেই স্মার্ট ফোনে অ্যালার্ট চলে যাবে। এমন হলে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে তা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে তার কাছেও পৌঁছে যাবে অ্যালার্ট। ফলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.