কালীর নাম কালী হল কেন, কীভাবে হল মা-য়ের জন্ম, জানুন কালীকথা
ODD বাংলা ডেস্ক: অসুরদের বিরুদ্ধে মা-কালীর বিজয়কে উৎসর্গ করে এই আরাধনা হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। কালীবন্দনার মূলেই রয়েছে অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করা।
অসুরদের সঙ্গে ঘোর প্রলয়ঙ্কর লড়াই-এ নেমেছিলেন মা-কালী। চারিদিকে তমসাচ্ছন্ন, মা-এর সেই রুদ্রমূর্তিতে দিশেহারা অসুরদের দল। চণ্ডালিনী মূর্তির সেই গ্রাসে একে একে নিঃশেষ হয়ে যায় অসুরদের দল। কালীর এই রূপ-কে নিয়ে রয়েছে বহু পৌরাণিক কথা।
কালীর নাম কেন কালী
'কালী' নাম কেন কাল-এর স্ত্রীলিঙ্গ হল কালী। আর শিব-কেও কাল নামে ডাকা হয়। কাল মানে অনন্ত সময়। এই সময়েরই স্ত্রীলিঙ্গ বোধক হচ্ছে কালী। শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে যে কাল সর্বজীবকে গ্রাস করে, সেই কালকে আবার যিনি গ্রাস করেন-তাঁকেও কালী বলা হয়। জগতের উৎপত্তি, স্থিতি, মহাপ্রলয়-এর পিছনে রয়েছে কালশক্তি। সবচেয়ে মজার কথা এই সবের জন্য যে মহাকাল পরিস্থিতির উদ্ভূত হয় তাই আবার সব সৃষ্টিকে গ্রাস করে। সনাতন ধর্মে উল্লেখ যে মহাকালেরও পরিণাম আছে। মহাপ্রলয়ের কালশক্তি মহাকালীর ভিতরেই নিঃশেষ লীন হয়ে যায়।
কালী-র জন্ম
স্বর্গ তোলপাড় করে লন্ডভণ্ড করে দিচ্ছে অসুরের দল। দেবতাদের তাড়িয়ে স্বর্গরাজ্যের দখলের চেষ্টাও করছে তারা। দেবতাদের মধ্যে ত্রাহি-ত্রাহি রব। অসুরদের প্রধান রক্তবীজ-ৃএর ছিল ব্রহ্মার বর। যার জেরে রক্তবীজের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত ভূতলে পতিত হলেই তা থেকে জন্ম নিচ্ছিল একাধিক অসুর। এমন পরিস্থিতি থেকে স্বর্গ-কে রক্ষা করতে এবং দেবতার মানসম্মান রক্ষার্থে অবতীর্ণ হন দেবীদুর্গা। সব অসুর দেবীদুর্গার হাতে নিহত হলেও ব্রাক্ষ্মার বরপ্রাপ্ত রক্তবীজ বারবার বেঁচে যায়। ক্রোধাম্বিত দেবীদুর্গা তাঁর ভ্রু যুগলের মাঝ থেকে জন্ম দেন কালী-কে। কালীর ভয়াবহ রুদ্রমূর্তি আর নগ্নিকা রূপে নিহত হতে থাকে একের পর এক অসুর। রক্তবর্ণ লকলকে জিভ বের করে কালী গ্রাস করে নিতে থাকেন একের পর অসুর এবং তাদের রণবাহিনীকে। হাতি, ঘোরা সমতে অসুরের দলকে কালী গ্রাস করতে থাকেন। রক্তবীজকে অস্ত্রে বিদ্ধ করে তার শরীরের সমস্ত রক্ত পান করে নেন কালী। রক্তবীজের শরীর থেকে একফোঁটা রক্ত যাতে মাটিতে না পরে সেজন্য কালী তাকে শূন্যে তুলে নেন। রক্তবীজকে এক্কেবারে রক্তশূন্য করে দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেন।
Post a Comment