উঠল জরুরী অবস্থা, সরকারের ভবিষ্যত কী?


ODD বাংলা ডেস্ক:  নিজের গদি বাঁচাতে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া বাজাপক্ষে। তবে চাপের মুখে মঙ্গলবার গভীর রাতে শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেন গোতাবায়া। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে গোতাবায়ার বাসভবনের সামনে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। এই আবহে কার্ফু জারি করা হয়েছিব কলোম্বোতে। তবে কার্ফু অমান্য করে লঙ্কাবাসীরা রাস্তায় নামেন। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তা ১৩ ঘণ্টা পরেই তুলে নিতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে দু'টি সেনার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে তা উল্টে ফেলে দিয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। পাশাপাশি ‘গো গোতা গো’ স্লোগানও উঠেছিল। প্ল্যাকার্ড হাতে সাধারণ জনগণ সরকারের অপসারণের দাবি তুলতে থাকেন। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সেদেশের অধিকাংশ মানুষ রাজাপক্ষের পরিবারকে দোষারোপ করছেন। বর্তমানে সেদেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ১৮.৭ শতাংশ। খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, শ্রীলঙ্কার মুদ্রার অবমূল্যায়ন জারি রয়েছে। দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকে না। পেট্রল পাম্পে নেই জ্বালানি। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ নাজেহাল। ১৯৪৮ সালে এই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এত বাজে সময় কোনওদিন আসেনি।

এই আবহে গত ১ এপ্রিল দ্বীপরাষ্ট্র জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া৷ তবে কার্ফু সত্ত্বেও প্রতিবাদ চলেছে৷ বিক্ষুব্ধ জনতা শীর্ষ নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে আর্থিক সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান চালাতে হয়েছে৷ বহু লোককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ শ্রীলঙ্কায় ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন৷ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার শাসকদলের সদস্যরা সব দলকে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ডাক দিয়েছে৷ রাষ্ট্রপতি বিরোধীদের সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে এই দাবি উড়িয়ে দেন বিরোধীরা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.