ওয়ার্ল্ড স্টেশনারি ডে- আজকের দিনটা ফিরিয়ে দেবে আপনার শৈশব-নজর দিন এই ছবিগুলোতে

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  এই পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছেন। এক ধরণের মানুষের কাছে পেন, পেন্সিল, ইরেজার, স্কেলের মত স্টেশনারি জিনিসগুলো কেনা প্রয়োজনের খাতিরে। অন্য আরেক ধরণের মানুষ রয়েছেন, যারা এই গুলো কেনেন ভালবেসে, অনেক দেখে শুনে। আপনি যদি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়েন, তবে আপনার শৈশব অত্যন্ত সুন্দর। 


মজাদার রবার বা ইরেজার


হরেক কালারের ইরেজার তো থাকবেই পেনসিল বক্সে। এছাড়াও আাদা করে নানা আকৃতির ইরেজার বা রাবার জমানো ছিল শখ। 


নানা ধরণের পেনসিল


পেন দিয়ে লেখা শুরুর আগে পেনসিলই ছিল জীবন। নানা রংয়ের পেনসিলে তখন ভরে থাকত পেনসিল বক্স। বড়দের সঙ্গে বাজারে গেলেই উঠত নানা ধরণের পেনসিল কেনার বায়না।


স্টিকারের কালেকশন


এমন পড়ুয়া হাতে গুনে পাওয়া যাবে, যে স্টিকার জমায়নি। বাজারে গেলেই বেছে বেছে নতুন নতুন স্টিকার কেনা ছিল প্রায় সবারই হবি। 


পেনসিল পাউচের রমরমা


পেন, পেনসিল, রাবার কেনার পরে তা রাখা হবে কীসে. কেন পেনসিল পাউচে। দারুণ দেখতে পেনসিল পাউচের স্টকে একে অপরকে টেক্কা দেওয়া যেত। 


হাইলাইটার


নানা পেন দিয়ে লেখা তো হল। এবার সেই লেখার কারিকুরির জন্য চাই হাইলাইটার। উত্তর পত্রে বা প্রজেক্ট ওয়ার্কে হাইলাইটারের স্টক বোঝা যেত। কে কত রংয়ের হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারে, তা দেখা ছিল পছন্দের কাজ। 


বুকমার্কস


বই, খাতার জন্য বুকমার্কস মাস্ট। সাধারণ কাগজের টুকরো নয়। যারা বই ভালবাসেন, তাদের কাছে বুকমার্কসের স্টকও থাকবে নিশ্চিত। হরেক স্টাইলের বুকমার্কস ঘরের লাইব্রেরি আলো করে রাখে। 


নোটবুকের সমাহার


লেখা হবে কীসে, নোটবুক। নানা রংয়ের নোট বুকে ব্যাগ তখন আস্ত একটা রংয়ের ডিব্বা যেন। বড় ছোট মেজ সেজ হরেক আকারের খাতা আর তার হরেক রং। 


নানা রংয়ের পেন


স্কুল জীবনে পেনের স্টক নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত বন্ধুদের মধ্যে। হরেক রংয়ের, হরেক দামের, হরেক আকারের পেন কাছে না থাকলে যেন জীবনই বৃথা। 


স্কেচ পেন ও রং পেন্সিল


সবথেকে পছন্দের সাবজেক্ট। কত ধরণের স্কেচ পেন যে বক্স আলো করে থাকত, তার ইয়ত্তা নেই। তাই আঁকার ক্লাসের মধ্যমণি সেই, যার কাছে এই সবগুলো রয়েছেয


নানা ধরণের পেন জমাতে, নানা রংয়ের পেনসিল নিজেদের কাছে রাখতে প্রায় সবাই ভালবাসতাম আমরা। আজ ওয়ার্ল্ড স্টেশনারি ডে-তে ফিরে দেখা সেই সাত রাজার ধন মানিকদের, যা সযত্নে আজও কোথাও না কোথাও রেখে দিয়েছি আমরা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.