আপনি কী একজন সুগারের রোগী? তাহলে জেনে নিন কোন ফল খাবেন আর কোনটা খাবেন না
ODD বাংলা ডেস্ক: ফল কিন্তু সকলের জন্যই উপকারী এমনা কিন্তু মোটেই বলা যায় না। বিশেষ করে যরা ডায়াবেটিক রোগী তাঁদের ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। মনে রাখবেন, বেশ কিছু ফল কিন্তু আপনার সুগারকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যদি একজন ডায়াবেটিক বা সুগারের রুগী হন তহলে অবশ্যই মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম।
আমার-আপনার মত সাধারম মানুষের কিন্তু একটা ধারনা আছে ফল মানেই সেটা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। হ্যাঁ, ফল সত্যিই উপকারী। তবে কিছুক্ষেত্রে কিন্তু ফল খাওয়ার সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ফল কিন্তু সকলের জন্যই উপকারী এমনা কিন্তু মোটেই বলা যায় না। বিশেষ করে যরা ডায়াবেটিক রোগী তাঁদের ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। মনে রাখবেন, বেশ কিছু ফল কিন্তু আপনার সুগারকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যদি একজন ডায়াবেটিক বা সুগারের রুগী হন তহলে অবশ্যই মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিক বা সুগার রোগীদের জন্য ঠিক কী ধরনের ফল খাওয়া উচিত।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, যেকোনও ফলেই জল বাদে প্রধান উপাদান হল সুগার। তাই মাত্রাতিরিক্ত ফল খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ফলে যে ভিটামিন, খনিজ লবণ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার যথেষ্ট পরিমাণে থাকে, সেগুলি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক উপায়ে ডায়াবেটিস কমাতেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খাওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত কোন ফল খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়বে আর কোন ফল খেলে সুগাররের ক্ষেত্রে কোনও ক্ষতি হবে না। যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি সেই ফল খেলে রক্তে মিশে তা দ্রুত সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম বা মাঝারি, সেগুলি খেলে সুগার বাড়ার প্রবণতা থাকে না।
আপনি যদি একজন ডায়াবেটিক রোগী হন তাহলে একটা বিষয় অবশ্যই জানা প্রয়োজন। সেটি হল, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মূলত তিন ধরনের হয়, কম, মাঝারি ও উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। এই মাপকাঠিটিই বলে দেবে ডায়াবেটিসে কোন ফল খাওয়া যাবে আর কোন ফল খাদ্যতলিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এক নজরে দেখে নিন, কোন ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে আর কোন ফলে বেশী। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফলের তালিকায় রয়েছে আপেল, কমলালেবু, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, কালোজাম। মাঝারি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফলগুলো হল কলা, আনারস, আম, আঙুর, বেদানা, কিশমিশ, পেঁপে, কিউই, লিচু, আতা। আর উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল হল তরমুজ, খেজুর, সবেদা।
প্রি-ডায়াবেটিক বা বর্ডার লাইন সুগার যাদের রয়েছে তাঁরা সমস্ত রকমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল প্রতিদিন ২০০ গ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে। যাদের সুগার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে তাঁরা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল সপ্তাহে দুবার ২০০ গ্রাম করে খেতে পারেন। সেই সঙ্গে মাঝারি বা কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল দৈনিক ২০০ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে। যাদের হাই সুগার ররয়েছে বা সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশী তাঁরা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল এরকদমই খাবেন না। মাঝারি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে খাওয়াযেতে পারে। আর কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফলও ২০০ গ্রাম করে খেলে ক্ষতি হবে না। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, শিশুদের যদি সুগার থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকেরল পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর সেই সঙ্গে ড্রাই ফ্রুটস, প্রসেসড ফল বা ফলজাতীয় খাদ্য যেমন জ্যাম, জেলি, ক্যান্ডি, জুসের মত জিনিস সম্পূর্ণ ত্যাগ করতে হবে। গর্ভাবস্থায় লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল দৈনিক ২০০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
Post a Comment