গরমকালে ব্যায়াম করার সময় শরীরকে হাইড্রেডেট রাখবেন কীভাবে? রইল ৫ টিপস..
ODD বাংলা ডেস্ক: শরীরকে সুস্থ এবং ফিট রাখার অন্যতম উপায় হল শরীরচর্চা আর ব্যায়াম। হজমের সমস্যা প্রতিরোধ করা থেকে শুরু করে দেহের কোষগুলিকে সক্রিয় রাখা, নিয়মিত শরীরচর্চার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালে রোদের তীব্রতার কারণে সকলের পক্ষেই শরীরচর্চা করা সমস্যা হয়ে দাড়ায়। শীতকালে তাপমাত্র কম থাকার কারণে ব্যায়াম, ওয়ার্কআউট বা জিম করলে শরীর গরম হয় এবং ঠান্ডা কম লাগে। উল্টো দিকে, গরমের দিনে রোদের তাপের কারণে আগে থেকেই শরীর ঘেমে থাকে। এর পর শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে বেশি বেশি করে ঘাম হয়, ঘন ঘন তেষ্টা পায় এবং শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু টিপস যা গরমকালে শরীরচর্চা করার সময় আমাদের হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করতে পারে।
*প্রথম টিপস
প্রতিদিন শরীরচর্চা করার আগে অন্তত একটি ফল, খেজুর, বাদাম বা ক্র্যাকার খাওয়া উচিত। গ্রীষ্মকালে ব্যায়াম করার ফলে অনেকেই হাইপোগ্লাইসেমিয়ার শিকার হন। উপরোক্ত খাবারগুলি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এই সমস্যার ঝুঁকি অনেকগুন কমিয়ে দেয়।
*দ্বিতীয় টিপস
গরমের দিনে শরীরে জলের মাত্রা সবসময় বৃদ্ধি করে রাখা উচিত কারণ ঘামের মাধ্যেম প্রচুর পরিমাণে জল দেহের বাইরে যায় যা ডিহাইড্রেশনের সম্ভবনা বৃদ্ধি করে। এই কারণে গ্রীষ্মকালে বেশি বেশি করে ঘোল, লেবু জল, তুলসী জল, জিরা জল, নারকেলের জল জাতীয় তরল খাওয়া উচিত। এই তরল শরীরের ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
*তৃতীয় টিপস
ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল এবং ইলেকট্রোলাইট দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। এই কারণে প্রতিনিয়ত ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত যা শরীরচর্চা করার শক্তি সরবরাহ করার পাশাপাশি ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা ধরে রাখবে।
*চতুর্থ টিপস
অতিরিক্ত জল খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটে এমন কিছু খাবার থাকা যা শরীরে তরলের মাত্রা বৃদ্ধি করবে। শসা, লেটুস, তরমুজ, বেরি এবং বেল মরিচ জাতীয় সবজিতে প্রচুর পরিমানে জল থাকে যা আমাদের শরীরচর্চা করার সময় হাউড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে।
*পঞ্চম টিপস
প্রত্যেকবার শরীরচর্চার আগে অব্যশই কিছু পানীয় বা খাবার খাওয়া উচিত। কেন না, ব্যায়াম করার সময় প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয় এবং শক্তির অভাবে শরীরে জলের ঘাটতি দেখে দিতে পারে।
Post a Comment