কুসংস্কার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ‘লাকি চার্ম’ বা ভাগ্যকবজ হিসেবে মানে

ODD বাংলা ডেস্ক: রোনালদো ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার। তার সংস্কার ছিল- ডান পা প্রথমে দিয়ে মাঠে প্রবেশ করা। ব্রাজিলিয়ান রবার্টো কার্লোসও এই সংস্কার অনুসরণ করতেন। তাতে ভাগ্যদেবী কতটা প্রসন্ন হতেন তা ঠিক জানা যায়নি। কিন্তু এ সংস্কারে বিশ্বাস করতেন এই ফুটবল তারকারা। এ যেন ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’।

বিশ্বের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ এমন অনেক কুসংস্কার মেনে চলেন যা বিজ্ঞানসম্মতভাবে কোনো ভিত্তি নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো এমন অনেক কুসংস্কার রয়েছে যাকে ‘লাকি চার্ম’ বা ভাগ্যকবজ হিসেবে মানেন। যেমন-

* উত্তর আমেরিকার নানা জায়গায় খরগোশের পা শুভ প্রতীক বলে বিবেচিত। তাদের বিশ্বাস এর নাকি অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে।

* ওক গাছের ফল নরওয়েতে ভাগ্যকবজ হিসেবে মানা হয়। বাড়ির দরজা-জানালার ওপরে এই গাছের ফল রাখলে নাকি অশুভ শক্তি ঘরে ঢুকতে পারে না।

* জাপানিদের নানা বিশ্বাসের মধ্য একটি সিল্কের কাপড়ে তৈরি ছোট বটুয়া, যার সারা গায়ে প্রার্থনা লেখা থাকে। এটি তাদের প্রিয় ভাগ্যকবজ। এর সঙ্গে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসও জড়িত।

* জার্মানরা শূকরকে সুখ-সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে মানেন।

* সুইডেনে ‘ডালা হর্স’ ভাগ্য বদলে দেয়। সুইডিশরা বিশ্বাস করেন কাঠের আসবাবে নানারকম কারুকার্য করা রঙিন ঘোড়া রাখলে ভাগ্যটাই বদলে যায়। সাদা, লাল বা সবুজ রঙের ঘোড়ার দামও অনেক। গায়ের নকশা যত বাড়বে তার দামও তত বৃদ্ধি পায়।

* চীনারা ব্যাঙকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মানে। ‘জিন চান’ লাল চোখ আর তিন পায়ের সোনালি রঙের ব্যাঙ ঘরে বা দোকানে রাখলে নাকি অঢেল অর্থের মালিক হওয়া যায়। এই ব্যাঙকে আবার ‘মানি টোড’ বলে চীনারা।

* পোল্যান্ডের অনেকে কার্পজাতীয় মাছের আঁশকে শুভ প্রতীক হিসেবে মানেন। শুধু পোল্যান্ড নয়, প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের অনেকের কাছে এটি ভাগ্যকবজ হিসেবে বিবেচিত। পোল্যান্ডের কিছু অধিবাসী মনে করেন কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বড়দিনে ডিনারের পর কার্প মাছের আঁশ খেলে নাকি ভাগ্য বদলে যায়। শুধু খাওয়া নয়, অনেকে আবার কয়েকটা আঁশ ওয়ালেটেও ভরে রাখেন। তাদের বিশ্বাস, এতে করে সারা বছর অর্থের কমতি হবে না।

* সাধারণত তিন পাতার ক্লোভার গাছ বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু চার পাতার ক্লোভার নাকি খুব কম মেলে। আয়ারল্যান্ডে কিছু অধিবাসীর কাছে ছোট এই গাছটি সৌভাগ্যের প্রতীক। আইরিশরা বিশ্বাস করেন বিশ্বাস, আশা, ভাগ্য ও ভালোবাসার প্রতীক এটি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.