শতবর্ষীদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার রহস্য কী?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অমরত্ব না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা মানুষের জন্য অসম্ভব নয়। পৃথিবীর যে স্থানগুলোতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শতবর্ষী মানুষ রয়েছেন, সেই স্থানগুলো বলা হয় 'ব্লু জোন'। ইতালির সারডিনিয়া, জাপানের ওকিনাওয়া কিংবা কোস্টারিকার নিকোয়া রয়েছে এই তালিকায়।


শতবর্ষী মানুষদের মধ্যে একটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে, তা হলো খাদ্যাভ্যাস। দেখে নেওয়া যাক তাদের খাদ্যতালিকায় থাকা কিছু খাবার।


ডাল


এই সব অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে হরেক রকম ডাল জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি। ফাভা নামক এক প্রকারের বিন, ব্ল্যাক বিন, সয়া বিন ও রাজমার মতো শস্য এই সব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। পাশাপাশি হরেক রকমের ডাল খেতেও বেশ পছন্দ করেন এই অঞ্চলগুলো বাসিন্দারা।


পরিমিত মাংস


বর্তমানে অনেকেই স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মাংস খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছেন। ব্লু জোনের শতবর্ষী মানুষদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই রয়েছে এই অভ্যাস। এই অঞ্চলগুলোত বসবাসকারী মানুষরা মাসে গড়ে পাঁচ বারের বেশি মাংস খান না। মূলত শূকরের মাংসই বেশি খেতে দেখা যায় এই অঞ্চলের মানুষদের।


৮০ শতাংশের নিয়ম


কী খাচ্ছেন তার পাশাপাশি কিভাবে খাচ্ছেন সেই বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। খাবার খাওয়ার ব্যাপারে জাপানের ওকিনাওয়ার মানুষরা মেনে চলেন কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন এক মন্ত্র। 'হারা হাচি বু' নামক এই নিয়মের প্রবর্তক হিসেবে অনেকেই চৈনিক দার্শনিক কনফুসিয়াসের কথা উল্লেখ করেন।


এই নিয়ম অনুযায়ী, মানুষের উদর ৮০ শতাংশ ভরলেই খাওয়া শেষ করা উচিত। দেহের ওজন, বিপাক ও পুষ্টি ভাল রাখতে খিদে ও পূর্ণ ভোজের মধ্যে ২০ শতাংশ পার্থক থাকা অত্যন্ত জরুরি বলে মত ওকিনাওয়ার মানুষদের।


খাবারের পরিমাণ


ব্লু জোনের মানুষদের সকালের নাস্তা হয় সবচেয়ে বেশি ক্যালরির। যত দিন গড়ায় তত কমতে থাকে খাবারের ক্যালরির পরিমাণ। রাতের খাবারের পরিমাণ সবচেয়ে অল্প। পাশাপাশি অনেকেই সময় মেনে উপোস করেন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাবার খাওয়া অভ্যাস করেন তারা।


পাখির মতো আহার


পাখির মতো আহার বলতে সাধারণত কম পরিমাণ খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কথা বলা হয়। শতবর্ষী ব্যক্তিরা অল্প পরিমাণে খাবার গ্রহণ করেন। একবারে গড়ে ৮৫ থেকে ১১৩ গ্রামের বেশি খাবার খান না তারা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.