গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু মানে দাম্পত্যের ইতি নয়, বরং এক সঙ্গে মোকাবিলা করুন এই পরিস্থিতির



 ODD বাংলা ডেস্ক: গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মৃত্যু হলে বহু মায়েরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর খারাপ প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চার মৃত্যুতে দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙতেও দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সতর্কতার। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মৃত্যু হলে স্ত্রীকে সামলানোর দায়িত্ব একজন স্বামীর। পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আনতে মেনে চলুন এই টোটকা। 


গর্ভধারণ থেকে বাচ্চার জন্ম দেওয়া- এই পুরো যাত্রার মধ্যে একাধিক সমস্যায় ভুগছেন মায়েরা। কখনও বাচ্চা আসতে সমস্যা হচ্ছে তো কখনও গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। এমন অনঅভিপ্রেত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে অনেকেই। আমাদের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, দূষণ, একাধিক রোগ হল এর প্রধান কারণে। তবে, জীবনে এমন ঘটনা ঘটলে জীবন থমকে যাবে তা নয়। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মৃত্যু হলে বহু মায়েরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর খারাপ প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চার মৃত্যুতে দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙতেও দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সতর্কতার। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মৃত্যু হলে স্ত্রীকে সামলানোর দায়িত্ব একজন স্বামীর। পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আনতে মেনে চলুন এই টোটকা। 


বাচ্চার সঙ্গে মায়ের নারীর যোগ থাকে। এই যোগ তৈরি হয় গর্ভাবস্থায় বাচ্চা থাকাকালীন। তাই জীবনে এমন খারাপ ঘটনা ঘটলে মায়ের ওপর সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর দুঃখে সম্মান করুন। তার শোক-কে তুচ্ছ করবেন না। তার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। এই ঘটনায় যদি তার দোষও থাকে, তাহলেও তাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললেন না। জেনে রাখবেন আপনি হয়তো মানসিক ভাবে দুঃখ পেয়েছেন। কিন্তু, তার কষ্ট মানসিক ও শারীরিক উভয়ই। 


অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চার মৃত্যুতে দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙতেও দেখা যায়। এমন  মানসিক অবস্থার মধ্যে কারও মুখ দিয়ে এই কথা বের হতেই পারে। তবে, বিপরীতে থাকা মানুষটির প্রয়োজন সম্পর্ক রক্ষা করে। বিচ্ছেদের পথে ভুলও হাঁটবেন না। আবারও বাচ্চা হওয়া সম্ভব। তাই ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এই কথা সব সময় মনে রাখুন। 


প্রয়োজনে দুজনে ঘুরতে যান। নতুন জায়গায় গেলে মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হবে। দুঃখ আঁকরে বাঁচা যায় না। তাই দুঃখ ভুলে এগিয়ে চলুন। নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করুন। সম্পর্কের নতুন মোড়া আনুন। একান্তে সময় কাটান। তবে, ভুলেও খারাপ সময়ের আলোচনা নয়। নতুন করে কীভাবে এগিয়ে চলা যায় তার পরিকল্পনা করুন। সেই পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে যান। আনন্দ করার চেষ্টা করুন। একাবার মানসিক অবসাদ গ্রাস করলে জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। তাই শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। একে অন্যের মনের অবস্থাকে সম্মান করুন। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিন।    

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.