গাছের কোটরই যেন ওদের ফ্ল্যাটবাড়ি

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  ভেতরে ঢোকার জন্য গোল করে দরজা কাটা। সেখান থেকে ঠোঁট বের করে উঁকি মারছে একটি পাখি। প্রখর রোদে ওরা ঘরেই থাকে। রাতে বের হয়। যুগলবন্দি দুই পেঁচার জীবনের গল্পটা এমন। একটা-দুটো নয়, হাজার গোত্রের হাজারো প্রজাতির পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় এমন গাছের কোটর। 

গাছের কোটর আর পাখির জীবনের অদ্ভুত এক বন্ধুত্ব আছে। গাছের কোটরই যেন পাখিদের ফ্ল্যাটবাড়ি। এশিয়ান বণ্যপ্রাণী গবেষকদের ক্যামেরায় ধরা পরেছে এমন কিছু ছবি। নানা গণমাধ্যম প্রকাশিত হয়েছে পাখিদের সেই ছবিগুলো। এমন বন্ধুত্বের ছবিতে আজকের ফটো ফিচার।  


জীবিত গাছের কোটরেই পাখিরা বেশি থাকে, কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে সেইসব কোটর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 


পাখিদের লড়তে হয় অন্য প্রাণীর সঙ্গে। নাও মিলতে পারে পর্যাপ্ত খাবার। দিনের পর দিন খাবারের সন্ধানে দূরে যেতে হয় মা পাখিদের। তাই গাছের কোটরে ছানাদের রেখে যায় পাথিরা।   


গাছে-গাছে কোটর করে পাখিরাই। এরা এ কাজে বেশ দক্ষ। কোটরে বসা বানানো হলেই পাখিরা ডিম দেয়। অনেক পাখি ডিম দেয়ার প্রয়োজন ছাড়াও কোটরে আশ্রয় নেয়।  


গরমকালে গাছের কোটরে পাখিরা বেশি থাকে। এ সময় ঝড়ে পড়ে যায় সাধারণ স্থানে বানানো বাসা। ঝড়ে থেকে বাঁচতে গাছের কোটর পাখিদের অন্যতম ভরসা। এই বাসায় যে কোনো ঋতুতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে পাখিরা। 


গাছের কুটোরের বাসায় মহা আনন্দে বাসা বাঁধে চড়াই, শালিক, টিয়াসহ নানা পাখি। তাদের অনুপস্থিতিতে আবার সেই বাসাতেই অলস দুপুরে বিশ্রাম করে যায় লম্বা লেজের কাঠবিড়ালি। 


ভারতে কৃষ্ণচুড়া, তেঁতুল, আম, ছাতিম, ক্ষিরিশ বা কদম গাছে পাখিরা বেশি কোটর বানায়। কৃষ্ণচূড়া এবং তেঁতুল গাছে সংসার পাতে পেঁচা।


এমন অনেক পাখি আছে, যারা বাসা বানায় না। মূলত মরা গাছের গায়ে কোটর তৈরি করে তারা থাকে। বর্তমানে মরা গাছ খুব একটা চোখে পড়ে না। কেননা, কোনো বড় গাছের মৃত্যু হলেই মানুষ তা কেটে নিয়ে যায়। বেঘর হয়ে পড়ে পাখির দল। অন্যত্র পাড়ি জমাতে হয় তাদের। তাতে নিজের এলাকা (হোম রেঞ্জ) হারাতে হতে পারে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.