সুডৌল স্তন পেতে ব্রা পরা কতটা জরুরি? ভুল ভাঙিয়ে চিকিৎসক জানতে চাইলেন 'আপনি কোন দলে'

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন চিকিৎসক তনয়া ওরফে ডক্টর কিউটারাস। ইনস্টাগ্রামে নিজেরও একটি ভিডিও পোস্ট করে ব্রা নিয়ে যাবতীয় কৌতুহল মিটিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ব্রা পরা বা না পরা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।

 

ব্রা বা বেসিয়ার পরা বা না পরা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এমন অনেকেই রয়েছেন যা নিজেদের নিখুঁত স্তন উন্মুক্ত রাখতে পছন্দ করেন। অনেকেই রয়েছেন যা ব্রা পরতে যেথেষ্ট বিরক্ত হয়। তাঁদের কাছে ব্রা একটি খাঁচা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁরা মনে করেন সুডেল স্তন যুগত ব্রায়ের মধ্যে আটকে রাখার অর্থ হল সৌন্দর্যের উপস্থাপনকে বাধা দেওয়া। 


কিন্তু এই সব ছাড়ায়েও একদল মহিলা রয়েছেন যাঁরা ঘরে বা বাইরে ব্রা ছাড়া স্বস্তি বোধ করেন না। তাঁরা ব্রা ছাড়া ঘরের বাইরে বার হতে লজ্জা পান। ঘরের মধ্যেও অনেকেই অভ্যস্ত ব্রা পরে থাকতে। এই জাতীয় মহিলাদের অনেকেই মনে করেন ব্রা না পরলে স্তনের গঠন খারাপ হয়ে যাবে। স্তন ঝুলে যাবে।


প্রশ্ন হচ্ছে ব্রা পরা সত্যি কোনও প্রয়োজন রয়েছে? ব্রা নিয়ে এই যে ধারনাগুলি রয়েছে সেগুলি কতটা বাস্তাব আর কতটা মিথ তাই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এখানেই শেষ নয়, অনেকে আবার মনে করেন সব সময় ব্রা পরে থাকা ঠিক নয়- যদি সর্বদা ব্রা পরা হয় তাহলে স্তন ক্যান্সার হতে পারে। পাশাপাশি অনেকে আবার নানা ধরনের শরীর খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কালো রঙের ব্রা ইচ্ছে থাকলেও পরেন না। 


যাইহোক এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন চিকিৎসক তনয়া ওরফে ডক্টর কিউটারাস। ইনস্টাগ্রামে নিজেরও একটি ভিডিও পোস্ট করে ব্রা নিয়ে যাবতীয় কৌতুহল মিটিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ব্রা পরা বা না পরা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। ব্রা- পরা বা না পরা কোনও ভাবেই আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কোনও প্রভাব ফেলে না। তিনি বলেছেন ব্রা একটা ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। তিনি আরও বলেছেন অনেকেই মনে করেন পোশাকের নিচ নিয়ে যদি স্তনবৃন্ত দেখা যায় তাহলে গোটা বিষয়টি বেহায়াপনা ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই জন্যই তাঁরা ব্রা পরার ওপর জোরদেন। এছড়া ব্রা পরার আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। 


চিকিৎসক বলেছেন অনেকেই ব্রা পরতে অভ্যস্ত। ব্রা পরা অবস্থায় তাঁদের স্তন দেখতে ভালো লাগে বলেও তাঁরা মনে করেন। অনেকের স্তন আয়োতনে বড় হয়। তারা ব্রা পরার ওপর জোর দেন। অনেকে আবার মনে করেন খেলাধুলা করার জন্য ব্রা পরা জরুরি। নাহলে স্তনের আকার খারাপ হয়ে যায়।- তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন এই জাতীয় ধারনার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। 


তিনি বলেছেন, কেউ যদি ব্রা পরতে চায় তাহলে স্বাধীনভাবে তা পরতেই পারেন। আবার কেউ যদি পরতে না চায় তাহলে পরবেন না। ব্রা না পরলে স্তন ঝুলে যাবে বা ব্রা পরে থাকলে ক্যান্সার হবে এই জাতীয় ধারনা থেকে বেরিয়ে আসারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানতে চেয়েছেন, ব্রা পরা বা না পরা আপনি কোন দলের সদস্য । 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.