আপনি সঠিক ব্রেকফাস্ট খেয়ে দিন শুরু করছেন তো?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ওজন কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মমাফিক সঠিক খাবার খেতে হবে এবং সেই সঙ্গে যথাযথ ব্যায়ামও করা খুব প্রয়োজন। একটা কথা মনে রাখবেন, ইচ্ছে হল আর পরদিন থেকে আপনি রোজ ভোরবেলা উঠে জগিং করতে আরম্ভ করে দিলেন এবং আশা করলেন যে মাসখানেকের মধ্যেই দারুণ ফল পাবেন, তাহলে একেবারেই ভুল ভাবছেন। সব ব্যায়াম সকলের পক্ষে সমানভাবে কার্যকর হয় না। তেমনই আবার না বুঝে-শুনে আচমকা ডায়েটিং আরম্ভ করলেও সুফল মিলবে না।


তার চেয়ে এমন একটা ডায়েট প্ল্যান ঠিক করুন যেটা মেনে চলা সোজা, পুষ্টিকর, বানানো সহজ এবং কাঁচামালও সহজলভ্য। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন সূর্যের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৈনিক জীবন কাটানোর। যতটা সকালে সম্ভব ঘুম থেকে উঠুন, মোটামুটি ঘণ্টা চারেক পর পর খাওয়াদাওয়া করুন। দিনের আলো নিভে এলে পাচনতন্ত্রকে বিশ্রাম দিন, অর্থাৎ ডিনারে একেবারেই হালকা খাবার খান এবং রাতে শুয়ে পড়ুন তাড়াতাড়ি।


ব্রেকফাস্ট যেহেতু দিনের প্রথম খাবার, তাই সেটি পুষ্টিকর হওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়। তবে খুব ভারী প্রাতরাশ করলে কিন্তু দৈনিক কাজকর্মে মন দিতে অসুবিধে হবে – কারণ খাবার হজম করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে আপনার পাচনযন্ত্র। তাই এমন খাবার বাছুন যা হালকা। দিনের প্রথম মিলেও প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকা বাঞ্ছনীয়। যাঁরা দিনের বেশিরভাগটাই বসে কাজ করেন, তাঁদের মোটামুটি 1200-1300 ক্যালোরির প্রয়োজন হয় রোজ। আদর্শ ব্রেকফাস্টে থাকবে অন্ততপক্ষে 400 ক্যালোরি। তার অর্ধেক আসা উচিত কার্বোহাইড্রেট থেকে, 30 শতাংশ জোগাবে প্রোটিন এবং বাকি 20 শতাংশ আসবে ফ্যাট থেকে। তাই বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই যে, লুচি-আলুরদম এক-আধদিন চলতে পারে – তা রোজ খেলে শরীর কার্বোহাইড্রেট বাদে আর কিছুই পাবে না?


যাঁরা সকালের দিকে ওটস খান, তাঁরা জলের বদলে তা দুধ দিয়ে বানান। ডাক্তারের বারণ না থাকলে ফুল ক্রিম দুধও ব্যবহার করা যায় – তবে পরিমাণটা এক কাপের বেশি হওয়ার প্রয়োজন নেই। সেই সঙ্গে আপেল, স্ট্রবেরি, কলার মতো ফল কুচি করে দিন। মেশান বাদামের কুচি। এতে আপনার জলখাবার প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণেই সমৃদ্ধ হবে। দুধ-মুড়ি-কলা, দই-চিড়ে-কলা, দুধ-কর্নফ্লেক্স-কলাও খেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে সঙ্গে একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডিমের কুসুম খুব ভালো ফ্যাটের উৎস, সেটি ফেলে দেওয়ার কোনও দরকার নেই।


যাঁরা টোস্ট খান, তাঁরা সামান্য মাখন বা পিনাট বাটার ব্যবহার করুন। টোস্টের উপর অ্যাভোকাডো পিউরিও লাগাতে পারেন। সেই সঙ্গে খান সেদ্ধ বা পোচ করা ডিম। অমলেট খেলে সামান্য তেল বা মাখনে তা বানিয়ে নিন। রুটি আর নানা মরশুমি সবজি দিয়ে তরকারিও বানিয়ে নেওয়া যায়। সঙ্গে সেদ্ধ ডিম, ছানা বা এক বাটি সবজি দেওয়া ডালসেদ্ধ খেতে পারেন। খুব বেশি তেল দিয়ে রান্না করবেন না, তবে মশলা দেওয়া যেতে পারে। প্রতিটি মশলাই কোনও না কোনওভাবে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। আর রোলড ওটস, ভুষিসমেত আটার রুটি, লাল চালের মুড়ি কিন্তু অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। যে কোনও প্যাকেটজাত খাবারেই কিন্তু বাড়তি চিনি ও নুন মেশানো হয় স্বাদ বাড়াতে। তাই সেগুলি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করলেই বুদ্ধিমানের কাজ করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.