ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ফোস্কা থেকে মুক্তি মিলবে, দেখে নিন সেরা ৬টি উপায়!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ফোস্কা পড়ার সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার। নতুন জুতো পরলে অনেকেরই ফোস্কা পড়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া, অত্যধিক তাপের ফলে, অতিরিক্ত আর্দ্রতা কিংবা চাপা জুতোর কারণেও কখনও কখনও ফোস্কা পড়তে পারে। যদিও ফোস্কা পড়ার নির্দিষ্ট কোনও ঋতু নেই। তবে গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে ত্বকে বেশি ফোস্কা পড়তে দেখা যায়। ফোস্কা হল এক ধরনের ক্ষত। ফোস্কা বেদনাদায়ক হলেও, এর চিকিৎসা কিন্তু বাড়িতে খুব সহজেই করা সম্ভব। তবে ফোস্কা ফাটানো থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে ফোস্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ১) অ্যালোভেরা ফোস্কা সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরা দুর্দান্ত কার্যকর। অ্যালোভেরাতে নিরাময় এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা ক্ষতস্থানে শীতলতা প্রদানের পাশাপাশি, ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ফোস্কাতে ভাল করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। অ্যালোভেরা জেল শুকিয়ে গেলে, ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অনেক সময় অ্যালোভেরা জেল লাগালে, ক্ষতস্থানে জ্বালাপোড়া কিংবা চুলকানি হতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এটি নিরাময় প্রক্রিয়া চলার কারণে হয়ে থাকে। ভাল ফল পেতে, এই প্রক্রিয়াটি দিনে দু'বার করুন। Ajker Rashifal : কেমন কাটবে আজকের দিন? দেখুন ২৫ এপ্রিলের রাশিফল ২) গ্রিন টি গ্রিন টি-তে, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস, যা ফোস্কার ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়াটি করতে, প্রথমে গরম জলে একটি টি ব্যাগ ডোবান এবং তাতে বেকিং সোডা দিন। তারপর ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন। তারপর ওই টি ব্যাগটি নিয়ে, ফোস্কার জায়গায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন। বেকিং সোডাতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। দিনে দুই থেকে তিনবার এই প্রক্রিয়াটি করুন।  ৩) অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এটি ফোস্কা নিরাময়ের আরেকটি সহজ ঘরোয়া উপায়। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি- ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, প্রদাহ-ব্যথা কমাতে এবং সংক্রমণের বিস্তারকে সীমাবদ্ধ করতে সহায়তা করে। এই প্রতিকারটি করতে, প্রথমে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে একটি তুলার বল ভিজিয়ে, আক্রান্ত স্থানে হালকা হাতে চেপে লাগিয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি কিছুটা বেদনাদায়ক হলেও, এতে তাড়াতাড়ি সেরে যায়। এই প্রক্রিয়াটি করার সময় চাইলে অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সাথে পেঁয়াজের পেস্ট মিশ্রিত করেও, ফোস্কার স্থানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। তারপর শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দু'বার এই প্রক্রিয়াটি করা যেতে পারে।  ৪) নারকেল তেল নারকেল তেলে Lauric Acid বর্তমান। এটি এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে হাইড্রেট রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়া, নারকেল তেল টিস্যু মেরামতের পাশাপাশি, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতেও সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়াটি করতে, নারকেল তেলে একটি তুলোর বল ভিজিয়ে ক্ষতস্থানে আলতো হাতে লাগিয়ে নিন। ৫) পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি কেবলমাত্র ফাটা ঠোঁট সারাতেই কার্যকর নয়, ফোস্কা নিরাময়ের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকরী। দ্রুত ফোস্কা নিরাময় করতে, প্রতিদিন রাত্রিবেলা ফোস্কার স্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি ভালো করে লাগিয়ে, তারপর ঘুমাতে যান। এটি শুষ্কতা এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়াও, দিনে দুইবার ১৫ মিনিট উষ্ণ জলে পা ভিজিয়ে রাখুন এবং ভালো করে তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। উষ্ণ জল ব্যথা এবং সংক্রমণকে প্রশমিত করতে সহায়তা করে এবং জেলি আর্দ্রতা ধরে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক। ৬) লবণ জল লবণে নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য বর্তমান এবং এটি ফোস্কার ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। ভাল ফল পেতে চাইলে, গরম এবং ঠান্ডা লবণ জলের সেঁক দিন। প্রথমে ঠান্ডা জলে লবণ মিশিয়ে তাতে এক টুকরো কাপড় ভিজিয়ে ফোস্কার ওপর প্রয়োগ করুন। আপনি চাইলে ঈষদুষ্ণ জলে লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়েও রাখতে পারেন। এটি ফোস্কার যন্ত্রণা ও ফোলাভাব কমিয়ে, দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে সহায়তা করে।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.