কাশ্মীরের ইগলু ক্যাফে: এটিই নাকি ধরার বুকে স্বর্গের বাগান

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ছোট ছোট গোল গোল বরফের বাড়ি। তার মধ্যে জ্বলছে আলো। হাতে গরম পেয়ালা। আর আড্ডা। এই নিয়েই কাশ্মীরের ইগলু ক্যাফে। সেখানে এখন প্রতি দিনই হামলে পড়ছেন পর্যটকেরা। কাশ্মীরে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় ‘ইগলু ক্যাফে’। 

ভূস্বর্গের এই বরফের ক্যাফেই এশিয়ার সব চেয়ে বড় ইগলু ক্যাফে। এই ক্যাফে পুরোটাই বরফ দিয়েই তৈরি। সাধারণ রেস্তরাঁয় যা যা সুবিধা পাওয়া যায়, এখানেও পাওয়া যায় সে সব সুবিধা।


বিদেশে বহু দিন ধরেই ইগলু ক্যাফের প্রচলন রয়েছে। বিশেষ করে সুইৎজারল্যান্ডে প্রচুর রয়েছে এ রকম ক্যাফে। তবে ভারতে এই প্রথম।


ভিতরে রাখা চেয়ার, টেবিল সবই বরফ দিয়ে তৈরি। চারটে টেবিল রয়েছে। মোট ১৬ জনের বসার ব্যবস্থা। হাওয়া চলাফেরার দেওয়ালে বরফ কেটে ছোট ছোট জানলা বানানো হয়েছে।


কাশ্মীরের এই ইগলু ক্যাফের উচ্চতা ১৫ ফুট এবং চওড়া ২৬ ফুট। সুমেরু মহাসাগরের ছোট ছোট ইগলু থেকে অনুপ্রাণিত এই ইগলু ক্যাফে।


আলাস্কার এস্কিমোদের ঘর বরফ দিয়েই তৈরি হয়। সেই ঘরের ভিতরে ঢুকলে নাকি বাইরের হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ধারণা থেকেই ইগলু ক্যাফে। এস্কিমোদের ওই ছোট ছোট ঘরগুলোকেই বলা হয় ইগলু। তাই এমন নামকরণ।


কোলহাই রিসর্টের মালিক ওয়াসিম শাহের মাথাতেই প্রথম এমন একটি রেস্তরাঁর কথা আসে। ওয়াসিম জানিয়েছেন, তিনি বিদেশে বহু জায়গাতেই ইগলু রেস্তরাঁ দেখেছেন। যে রেস্তরাঁ তার খুব পছন্দ হয়।


এক পর্যটক দেশটির গণমাধ্যমকে বলছেন, ‘আমি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কাশ্মীরে এলাম। কিন্তু এই ইগলু ক্যাফে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। আমি খুব খুশি হয়েছি এবং বাকিদেরও বলেছি এখানে আসতে।’


কাশ্মীরের এই ইগলু ক্যাফেতে স্থানীয়দেরও হাতের ছোঁয়াও রয়েছে। ক্যাফের গায়ে সোনার হরফে লেখা সেই লাইন, ‘আগার ফিরদাওস বর রুয়ে যমিনাস্ত, হামিনাস্ত, হামিনাস্ত, হামিনাস্ত’ —যার অর্থ ‘এ ধরার বুকে যদি থাকে স্বর্গের বাগান—এই সেই স্থান, এই সেই স্থান, এই সেই স্থান।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.