গরমে নিয়মিত লঙ্কা খান, শরীর ঠান্ডা থাকবে ঝাল খেলে, জেনে নিন বিস্তারিত
ODD বাংলা ডেস্ক: সকলেরই শরীর গরম হয়ে যায় এই সময়। আর তার থেকে দেখা দেয় নানা রকম জটিলতা। সমস্যা বড় আকার নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই গরমে এমন খাবার খান, যাতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীর ঠান্ডা রাখতে রোজ লঙ্কা খান। এতে ক্যাপ্সাইসিন নামক একটি উপাদান থাকে। যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে।
ক্রমে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এই গরমে সকলেরই প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই সময় একের পর এক শরীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। কোন দিন পেটের সমস্যা, তো কোন দিন বমি বমি ভাব। সঙ্গে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। এই সময় একাধিক শারীরিক জটিলতার সমস্যায় ভুগছেন সকলে। এখন সব থেকে বড় সমস্যা হল শরীর গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা। সকলেরই শরীর গরম হয়ে যায় এই সময়। আর তার থেকে দেখা দেয় নানা রকম জটিলতা। সমস্যা বড় আকার নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই গরমে এমন খাবার খান, যাতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
শরীর ঠান্ডা রাখতে রোজ লঙ্কা খান। এতে ক্যাপ্সাইসিন নামক একটি উপাদান থাকে। যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই লঙ্কা খান রোজকার ভাতের পাতে। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন কাঁচা লঙ্কা খান, তাদের শরীর ঠান্ডা থাকে। অনেকেই ভাবে ঝাল খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। এটা একেবারে ভুল। লঙ্কা শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় না। বরং, গরমে ঝালযুক্ত খাবার খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
তাই ভাতের পাতে হোক কিংবা জলখাবারে লঙ্কা খান। এই গরমে অনেকেই পান্তা ভাত খেয়ে থাকেন। তার সঙ্গে অবশ্যই লঙ্কা খান। এতে শরীর ঠান্ডা হবে। শরীর ঠান্ডা করার পাশাপাশি হার্ট ও মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের রোগের ঝোঁক কমায় লঙ্কা। যারা নিয়মিত ঝাল খান, তাদের হার্ট ও মস্তিষ্কের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ১৩ শতাংশ কম হয়। তাছাড়া কোলেস্টেরলে সমস্যা দূর হয় লঙ্কার গুণে। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। যা শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সঙ্গে ত্বক ও চুলেরও পুষ্টি জোগায়। সঙ্গে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে লঙ্কা। তাই সুস্থ থাকতে রোজ খেতে পারেন লঙ্কা।
গরমে রোজ তো লঙ্কা খাবেনই। তার সঙ্গে শরীর ঠান্ডা রাখতে নিয়ম করে শসা ও তরমুজ খেতে পারেন। এই দুই ফলে অধিক পরিমাণে জল থাকে। যা শরীর ঠান্ডা রাখেন। সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পেঁয়াজ। এতে থাকে একাধিক উপাদান শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে থাকে। সঙ্গে এই গরমে যতটা পারবেন সবুজ সবজি খাব। এড়িয়ে চলুন ভাজাভুজি ও অধিক তৈলাক্ত খাবার। তবেই শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকা সম্ভব।
Post a Comment