অতিরিক্ত চিপস খেলে হতে পারে ক্যানসার!
ODD বাংলা ডেস্ক: ঘরে কিংবা বাইরে—চিপস বেশ জনপ্রিয় খাবার। শিশুদের অন্যতম পছন্দের খাবার এটি। অবশ্য বড়রাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বন্ধুদের আড্ডা কিংবা একাকী সময় কাটাতে চিপস থাকে অনেকেরই হাতে। বিকেলের নাশতা হিসেবেও চিপসের প্রচলন রয়েছে। তবে যাঁরা মাত্রারিক্ত চিপস খান, তাঁরা এবার কিছুটা নড়েচড়ে বসতে পারেন। কেননা, চিপস হয়ে উঠতে পারে ক্যানসারের মতো মরণঘাতী রোগের কারণ, এমনটিই জানিয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি সুইডিশ ন্যাশনাল ফুড অথোরিটির গবেষণায় সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক্রিলামাইড (Acrylamide) প্রাকৃতিকভাবে সংগঠিত এমন এক প্রকার রাসায়নিক যৌগ যা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন শর্করা বহনকারী শস্য বা সবজিতে থাকে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হলে সেই যৌগ গঠনে সক্ষম হয়। মানুষের আয়ু কমানোর জন্য এই রাসায়নিক যৌগটির যেমন বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি এটি ক্যানসারের কোষকে দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে বলে মত এই গবেষকদের।
আলু এক প্রকার উচ্চ শ্বেতসারসমৃদ্ধ সবজি বা শস্য। এর অতি পাতলা করে কাটা টুকরো অতিরিক্ত নুন মাখিয়ে ডুবো তেলে অনেকক্ষণ ধরে ভাজার পর তা সংরক্ষণ করতে উচ্চ তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়। ফলে এর খাদ্যগুণ অনেকাংশেই নষ্ট হয়। শুধু তা-ই নয়, এই পদ্ধতিতে প্যাকেটজাত আলুর চিপসে এক্রাইলামাইড জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ উৎপাদিত হয়। বিশ্বের একাধিক পুষ্টিবিদও এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত হয়েছেন।
এমন তথ্যে প্রশ্ন উঠেছে যে, আলুভাজা খাওয়া যাবে কি না। সেই সমাধানও দিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা। তাঁদের মতে, ঘরে তৈরি আলু ভাজা খাওয়া যেতে পারে। তবে কোনো কিছুই মাত্রাতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। কিন্তু ছোট-বড় পটেটো চিপস তৈরির কারখানাগুলোতে প্যাকেটজাত করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াজাতকরণের যে পদ্ধতি, মূল সমস্যা সেখানেই।
আলুর চিপস (ইংরেজি: Potato chips (যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডীয়, ও বেশিরভাগ ইউরোপীয় ধাঁচের ইংরেজিতে), এছাড়াও ব্রিটিশ ও আয়ারল্যান্ডীয় ইংরজিতে Potato crisps) হচ্ছে আলু দ্বারা প্রস্তুতকৃত এক প্রকার তৈরি খাবার। আলু খুব পাতলা স্লাইস করে কাটার পর তা মসলা যোগে ডুবো তেলে ভাজার মাধ্যমে মচমচে এই খাবারটি প্রস্তুত করা হয়। এটি মূল খাবার হিসেবে নয়, বরং মূল খাবারের পার্শ্ববর্তী একটি পরিবেশনা হিসবে পরিবেশিত হয়। এছাড়া নাস্তা বা স্ন্যাক্স ধরনের খাবার হিসেবেও এর প্রচলন রয়েছে।
সাদামাটা ধরনের মূল আলুর চিপস আলুর সাথে লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। তবে বিভিন্ন রকমের উপাদান ব্যবহার ও পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে এটির বিভিন্ন প্রকরণ তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পনির, মাংস, মাছ, মশলা, চকোলেট, টমেটো ইত্যাদি বহু স্বাদযুক্ত করে আলুর চিপস তৈরি করা যেতে পারে। নামে আলুর চিপস হলেও যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে অনেক ক্ষেত্রে আলুর পাশাপাশি, ভুট্টা, যব, ও টাপিওকা সহযোগেও এ ধরনের চিপস তৈরি করা হয়।
Post a Comment