শুধু সর্দি-কাশি নির্মূলই নয়, অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও জুড়ি মেলা ভার তালমিছরির

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমরা কম বেশি সকলেই তালমিছরির যে গুণটা জানি সেটা হল, পেট ঠান্ডা রাখতে তালমিছরি বিশেষভাবে সাহায্য করে। তালমিছরি ভেজানো জল খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। এছাড়াও আমাদের শরীরের বিশেষ তিনতি সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। যে সমস্যাগুলোকে দূরে রাখে সেগুলো হল অ্যানিমিয়া, ব্লাডসুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করে, হাড়ের সমস্যাকে দূর করে।


তালমিছরি..খেতেও যেমন সুন্দর গুণমানেও ভালো। এই তালমিছরিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা আমাদের শরীরের প্রয়োজননীয় উপাদানের জোগন দিয়ে থাকে। তালমিছরিতে থাকা পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাসের মত গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলস্ আমাদের শরীরের পক্ষে বিশেষভাবে উপকারী। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে  ভিটামিন বি– ১২। বলা বাহুল্য এই ভিটামিন খুব কম খাবারের মধ্যে পাওয়া যায়। তালমিছরির মধ্যে থাকা  এই উপাদান ব্রেন সিস্টেম ও এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে আমরা কম বেশি সকলেই তালমিছরির যে গুণটা জানি সেটা হল, পেট ঠান্ডা রাখতে তালমিছরি বিশেষভাবে সাহায্য করে। তালমিছরি ভেজানো জল খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। 


তালমিছরি আমাদের শরীরের বিশেষ তিনতি সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। যে সমস্যাগুলোকে দূরে রাখে সেগুলো হল অ্যানিমিয়া, ব্লাডসুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করে, হাড়ের সমস্যাকে দূর করে। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক তালমিছরি কীভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নির্মূল করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য় করে। প্রথমে তালমিছরির যে গুণটার দিকে আলোকপাত করব সেটি হল অ্যানিমিয়া। তালমিছরি অ্যানিমিয়া সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।তালমিছরিতে আছে আয়রন যেটা রক্তের হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই অ্যানিমিয়ারর সমস্যায় ভুগলে বা এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে রোজ তালমিছরি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। 


হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তালমিছরির জুড়ি মেলা ভার। তালমিছরি  তো আসলে প্রাকৃতিক চিনি। তাই এতে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। আর এই দুটি উপাদান হাড়কে মজবুত রাখতে ও হাড় ক্ষয় হয়ে যাবার হাত থেকে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন তারা হাড়কে ভালো রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনদিন তালমিছরি খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। তালমিছরি হাড়ের সমস্যা নির্মূলে এতটাই কার্যকরী যে আপনি যদি নিয়মিত তালমিছরি খান তাহলে হয়তো ভ্যানিশ হয়ে যাবে বাতের ব্যাথাও। 


তালমিছরি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি মিষ্টি। তাই এতে কোন ক্ষতিকর উপাদান নেই। আর ঠিক সেই কারনেই তালমিছরি ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। উল্লেখ্য, এতে খুব কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। তাই ব্লাডসুগার লেভলকে কখনও বাড়তে দেয় না। তালমিছরিতে এর পরিমান থাকে মাত্র ৩৫%। তাই এটি একজন ব্যক্তির মিষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি ব্লাড সুগার লেভেলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার যদি ব্লাড সুগার থাকে তাহলেও নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন। তালমিছরির এই নানাবিধ গুণ সম্বন্ধে আজ ইপনি অবগত হলেন। তাহলে এবার থেকে শুধু পেট ঠান্ডা বা সর্দি কাশি নির্মূল করতেই নয়, অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও বাড়িতে নিয়ে আসুন তালমিছরি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.