রাজ্য জুড়ে তাপপ্রবাহ; কী ভাবে এড়াবেন তীব্র গরমের কষ্ট?



 ODD বাংলা ডেস্ক: 'প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন'! অতি জনপ্রিয় এই বাংলা গানটি এখন আক্ষরিক অর্থেই মূর্তিমান আমাদের চোখের সামনে। রাজ্য জুড়ে ভয়ানক গরম, তীব্র দাবদাহ, প্রখর রোদ। এই গরম থেকে কবে মুক্তি? জানা গিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। গরমে শরীরে নানা সঙ্কট ঘনিয়ে আসে। রবিবারই কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে তাপমাত্র ছুঁয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। এবং পূর্বাভাস যে, তাপমাত্রা দিনের পর দিন এভাবে বেড়েই চলবে। এবং আগামি দিনেও বেড়েই চলবে বলেই পূর্বাভাস।


সুতির আরাম, সুতির আড়াল


এই অবস্থায় বাড়ছে নানা সমস্যা। ক্লান্তি, অবসাদ, হিটস্ট্রোক তো আছেই। রয়েছে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। রোদ এড়াতে, সুস্থ থাকতে সবার আগে ঠিক পোশাকটি বেছে নিতে হবে। এই গরমে হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে, সুতির জামাকাপড় পরাই ভাল।

  

সদাস্নিগ্ধ


শরীরকে সদাসর্বদা স্নিগ্ধ রাখতে হবে। প্রচুর জল খেতে হবে। প্রয়োজনে ঘন ঘন ওআরএস খেতে পারেন। বেশি ক্লান্তি লাগলে জলে গ্লুকোজ মিশিয়ে খেতে হবে। টানা ৪ ঘণ্টা প্রস্রাব না হলে বুঝতে হবে ডিহাইড্রেশন হয়েছে। সাবধান হতে হবে।

  

এসিতে সাবধান


হঠাৎ করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকেই এ সময়ে। তাই এসি'তে ঢোকা বা বেরনোর সময়ে নাক ঢাকতে হবে।

  

জলসত্র


তেলমশলাহীন সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। জলপূর্ণ ফল যেমন, শশা, তরমুজ, জামরুল ইত্যাদি এই সময়ে একটু বেশি করে খেতে হবে।    

 

তৃষ্ণার শান্তি


গত ১৬ বছরে এই প্রথম কালবৈশাখীহীন চৈত্র দেখল বাংলা। এই গরমের সঙ্গে রয়েছে তাপপ্রবাহ। নাজেহাল সাধারণ মানুষ। রবিবারই কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করল। 

 

বৃষ্টিবিহীন বৈশাখীদিন


গরমে সুস্থ থাকতে হলে খুবই সাবধানে থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে এই সামান্য কয়েকটি নিয়ম। তাতে বৃষ্টি আসুক বা না আসুক তাঁরা স্বস্তিতেই থাকবেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.