ডিহাইড্রেশন থেকে ডায়রিয়া- গরমে একাধিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে, রইল এমন ৮টি রোগের হদিশ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যে ৪০ ছুঁয়েছে তাপমাত্রা। প্রচন্ড দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস ওভার জোগার। তাই বলে বাড়ি থাকার জো নেই। যতই গরম হোক অফিস কাছারি যেতে হচ্ছে সকলকে। আর এই গরমে বের হওয়া মানেই একের পর এক রোগ। হিট স্ট্রোক থেকে ডিহাইড্রেসনে ভুগছেন অনেকেই। আজ রইল ৮টি রোগের খোঁজ। গরমে এই ১০টি রোগ থেকে সতর্ক থাকুন। রইল রোগের খোঁজ ও তার থেকে মুক্তির উপায়। জেনে নিন কী করলে এই গরমে রোগ মুক্ত থাকবেন। 


ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় কম বেশি অনেকেই ভোগেন এই সময়। গরমে শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শরীর থেকে এই সময় জল বেরিয়ে যায়। ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সারাক্ষণ জল খান। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল খান। সঙ্গে এমন ফল খান যা শরীর জলের ঘাটতি পূরণ করবে।   


গরমে  হিট স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। এই সময় শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা হারায়। এই সময় শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের রক্তনালি প্রসারিত হয়। এতে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে যতটা পারবেন ছায়াতে থাকুন। খুব প্রয়োজন না হলে রোদে যাবেন না। আর প্রচুর জল খান।  


ত্বকের সমস্যার গরমে অন্যতম। এই সময় Summer Rash দেখা দেয় অনেকের। গরমে প্রখর সূর্যের তাপে এই সমস্যা হয়। তাই শরীর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা যেমন রাখবেন, তেমনই রোদে বের হবেন না। একান্ত বের হতে হলে ছাতা ও স্কার্ফ ব্যবহার করুন। গরমে ফুল স্লিভ সুতির পোশাক পরুন। 


ফুড পয়জেনের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এই সময় তেল মশলা যতটা পারবেন কম খান। গরমে খাবার সহজে হজম হয় না। সে কারণে ফুড পয়জেন হতে পারে। এই সময় কাটা ফল খাবেন না। যতটা পারবেন হালকা খান। সুস্থ থাকতে চাইলে এড়িয়ে চলুন দোকানের খাবার। তা না হলে বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতা।  


মাম্পস হল এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমিত রোগ। যা বাচ্চাদের মূলত হয়। হাঁচি, কাশির মধ্য দিয়ে এই ভাইরাস ছড়ায়। এতে গলা ও কানের নীচের লালাগ্রন্থি ফুলে যায়। খাবার খেতে সমস্যা হয়। গ্রীষ্মকালে এই রোগ বেশি হয়। রোগ থেকে বাঁচতে কোনও মাস্পস রোগীর সংস্পর্শে আসবেন না। তা না হলে সংক্রমিত হতে পারেন।   


আরও একটি ভাইরাস সংক্রমিত রোগ হল চিকেন পক্স। মূলত বসন্ত কালে হলেও গরমেও এই রোগে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। জ্বর, চুলকানি, মাথা ব্যথা আর ত্বকে সংক্রমণ হয় এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে। এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখুন আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠন করবেন এমন খাবার খান, এতে রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 


সান বার্নের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। সূর্য রশ্মির সংস্পর্শে এলে ত্বক পুড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত ত্বকের যত্নের প্রয়োজন। কোনও স্থান লাল হয়ে গেলে বরফ লাগান। সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসবেন না। এতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সঙ্গে ত্বক ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। 


গরম লেগে অনেকেরই জ্বর হয়। আবার গরমে আমরা সারাক্ষণ গা ধুয়ে থাকি। সে কারণে কাশি-সর্দি ও ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে। এই সময় সাময়িক আরাম পেতে বারে বারে গায়ে জল দিই ঠিকই, কিন্তু এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যেস বদল করুন।


গরমে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। রোজ ১ বাটি করে সবজি সেদ্ধ খান। এতে শরীর ভালো থাকবে। শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ হবে সবজিতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিনের গুণে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।  


গরমে সবার আগে শরীর ঠান্ডা রাখুন। এই গরমে প্রচুর পরিমাণে জল খান। পর্যাপ্ত জল যে কোনও রোগ থেকেই মুক্তি দিতে পারবে। জল পান করলে একদিকে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, হিট স্ট্রোক ও পেটের সমস্যা হবে না। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করুন। এতে সুস্থ থাকবেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.