ডায়াবেটিসে পছন্দের সব খাবার বাদ দিতে হবে এমন নয়, এড়িয়ে চলুন মাত্র ৬ ধরনের খাবার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স ৩০-র ঘরে পা দেওয়া মানেই একের পর এক রোগ। আজকাল অল্প বয়সেই হার্ট, কিডনি, প্রেসার থেকে শুরু করে ফ্যাটি লিভার। এই সবের থেকেও আরও একটি রোগ বাসা বাঁধছে প্রায় সকলের জীবনে। সেটি হল ডায়াবেটিস। এখন ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগী। আর এই রোগের প্রধান কারণ হল দুশ্চিন্তা। কাজের চাপেই হোক কিংবা পরিবারের চাপে, দুশ্চিন্তায় কিংবা মানসিক চাপ দেখা দেয়। এর থেকে সবার আগে দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিসের মতো রোগা। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে প্রয়োজন ডাক্তারি পরামর্শ। তার সঙ্গে নিয়ম মেনে থাকা। রোগ থেকে মুক্তি পেতে শুধু ওষুধ খেলে হবে না। মেনে চলতে হবে বাড়তি কিছু। বিশেষ নজর দিতে হবে খাদ্যতালিকায়। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন খাবেন, তেমনই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। 


ডায়াবেটিস একবার শরীরে বাসা বাঁধা মানে, তা ধীরে ধীরে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলবে। একথা আমরা সকলেই জানি। এই রোগ স্লো পয়জেনের মতো কাজ করে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে এই রোগ। তাই  স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন খাবেন, তেমনই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।  


ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না তা ঠিক করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রোগের প্রথম দিকে সকলে নিয়ম মেনে চললেও, পরে সব নিয়ম ভুলতে বসে। এই রোগে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হয় একাধিক জিনিস। তবে, সব পছন্দের খাবার বাদ দিলে খাবেনই বা কী? 


আজ রইল সাত ধরনের খাবারের কথা। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে এই সাত ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ওষুধ তো খাবেনই। সঙ্গে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন এই ছয় ধরনের খাবার। তবেই চট-জলদি সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। জেনে নিন কী কী খাবেন না। মাত্র ছয় ধরনের খাবার সুস্থ রাখবে আপনাকে। 


প্রক্রিয়াজাত মাংস একেবারেই খাবেন না। এই ধরনের খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। প্যাকেটজাত মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে। এগুলো রান্না করা সুবিধাজনক বলে অনেকেই খেয়ে থাকেন। তবে এবার থেকে বাড়িতে রান্না করা মাংস খান। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে সঙ্গে রোগ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন খাবেন, তেমনই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।  


লবণজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। লবণ সুগারের রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। অধিক নুন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। সঙ্গে সুগার চোখ ও কিডনির ক্ষতি করে। এমনকী, বাড়িয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তাই এবার থেকে এড়িয়ে চলুন এই নোনতা খাবার। যে কোনও খাবারেই নুন কম দিয়ে রাঁধবেন। এতে সু স্বাস্থ্য বজায় থাকবেন।  


ফুড কালার যুক্ত খাবার খাবেন না। এটা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। অনেক রান্নাতেই ফুড কালার দেওয়া হয়। এতে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই একেবারে এড়িয়ে চলুন এমন ফুড কালার যুক্ত খাবার। কেক, সরবতে এমনকী বিভিন্ন স্ন্যাক্স আইটেমে এই ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে  স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন খাবেন, তেমনই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।   


ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সবার আগে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন চিনি। চিনিকে হোয়াইট পয়জেন বলা হয়। এটি ধীরে ধীরে শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই ভুলেও চিনি খাবেন না। প্রয়োজনে চিনি ছাড়া চা খান। এতে প্রথমে সমস্যা হলেও পরে অভ্যেস হয়ে যাবে। সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টোটকা। 


বন্ধ করুন মদ্যপান ও ধূমপান। এই দুই অভ্যাস ডেকে আনে একাধিক রোগ। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে এই সবার আগে বন্ধ করুন মদ্যপান ও ধূমপান। শুধু ডায়াবেটিস নয়, সঙ্গে ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হতে পারে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যেস। তাই সত্যিই যদি সুস্থ থাকতে চান তবে বদল করুন নিজের এই অভ্যেস। 


চিপস, কুকিজ, প্যাটিস কিংবা পিৎজা জাতীয় খাবার খাবেন না। এই ধরনের প্রয়োজনের অতিরিক্ত নুন ও চিনি থাকে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স খান। চিপস, কুকিজ, প্যাটিস কিংবা পিৎজা জাতীয় খাবার খাবেন না। জীবন যাত্রায় এই পরিবর্তন সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। 


diabetesখেতে পারেন কার্বোগাইড্রেট জাতীয় খাবার। এগুলো শরীর সুস্থ রাখে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। ব্রাউন রাইস, ওটস, ফল, সবজি দুগ্ধজাতীয় খাবার খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবার থেকে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা।  স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন খাবেন, তেমনই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.