একটি ডিমেই কিডনি ও পিত্তথলির পাথর গলবে !
ODD বাংলা ডেস্ক: কোয়েলের ডিম ওষুধ হিসেবে বেশ কা’র্যকরী। বিভিন্ন প্রকার রো’গ দাওয়াই এই পাখির ডিম। যেমন- হার্ট, অতিরি’ক্ত ওজন, দু’র্বলতা, পাকস্থলীর অসুখসহ ফু’সফুসের রো’গ সারায় এই ডিম।
এছাড়াও স্মৃ’তিশ’ক্তি হ্রাস, র’ক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, পুরুষত্বহীনতা এবং উচ্চ কলোস্ট্ররেল ইত্যাদি রো’গও কোনো রকম পার্শ্ব প্র’তিক্রিয়া ছাড়া নিরাময় হয়। কেন কোয়েল পাখির ডিম খাবেন?
১. কোয়েলের ডিম সর্দি ও কাশির বি’রুদ্ধে কাজ করে। এতে রয়েছে অ্যালার্জি প্র’তিরো’ধকারী উপাদান। গবেষণায় দেখা যায়, কোয়েলের কাঁচা ডিম অ্যালার্জির লক্ষণ ও মাত্রা উভ’য়ই কমিয়ে দিতে পারে।
২. কোয়েলের ডিমের অ্যালার্জি প্র’তিরো’ধকারী উপাদান হাঁপানির বি’রুদ্ধেও কাজ করে। ধুলোবালির জী’বাণুতে আক্রা’ন্ত ১৮০ জন হাঁপানি আক্রা’ন্ত শি’শু নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কোয়েল পাখির ডিম খেয়েছে তাদের হাঁপানির তীব্রতা ও অস্থিরতা উল্লেখযোগ্য হারে কম।
৩. কোয়েলের ডিমের সাদা অংশে লাইসিন-৮ নামে এক ধ’রণের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। ত্বকে কোলাজেন গঠনে লাইসিন গু’রুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদিও আমাদের শ’রীর এ ধ’রণের অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে না। তাই এর ঘাটতি পূরণে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
৪. এই ডিম ভিটামিন ‘এ’ এর ভালো উৎস। যা চোখের স্বা’স্থ্য ভালো রাখে। ভিটামিন ‘এ’ অল্প আলোয় চোখকে দে’খতে সাহায্য করে ও অন্ধত্ব প্র’তিরো’ধ করে।
৫. ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ অনুযায়ী, কোয়েলের ডিম বয়সের বৃ’দ্ধি কমিয়ে দিতে পারে। কোয়েলের ডিমে কোলিন নামে এক ধ’রণের পুষ্টি থাকে যা মস্তিষ্ক তীক্ষ্ম রাখে, বিশেষত বয়স বাড়ার ব্যাপারে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক থাকে যা ত্বকের জন্য ভালো। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বার্ধক্য প্র’তিরো’ধ করে।
৬. ডায়াবেটিস একটি বিপজ্জনক অবস্থা যা কেবল বাড়তেই থাকে। ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধে, খাবার তালিকায় কোয়েলের ডিমের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের চিকিৎ’সা করা হয়।
৭. মুরগির ডিমের স’ঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১ দশমিক ৪ শতাংশ আর মুরগির ডিমে ৪ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ মুরগির ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশি।
৮. কোয়েলের ডিম কি’ডনি, লিভার এবং পিত্তথলির স্বা’স্থ্যের জন্য অত্যন্ত কা’র্যকরী। এই ডিম কি’ডনির পাথরের বৃ’দ্ধিতে বা’ধা দেয় এবং সিস্টগুলো ভে’ঙে ফেলতে সহায়তা করে। এই ডিম লেসিথিন সমৃদ্ধ। যা কি’ডনি বা পিত্তথলির পাথর ভাঙ্গতে সহায়তা করে।
কোন বয়সে কয়টি ডিম?
১-৭ বৎসর পর্যন্ত বয়সের ক্ষেত্রে দিনে ২/৩ টা করে কোয়েলের ডিম ২০/৩০ দিন খাওয়ার প’রামর্শ দেয়া হয়।
৮-১০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ টা করে কোয়েলের ডিম নিয়মিত খাওয়ার প’রামর্শ দেয়া হয়।
১১-১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ টা করে ১ মাস খাওয়ার প’রামর্শ দেয়া হয়।
১৬-১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ২৬ দিনে ১২০ টা ডিম খাওয়ার প’রামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৪৯ দিনে ২৪৯ টা কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার প’রামর্শ দেয়া হয়।
সত’র্কতা: কোয়েল পাখির ডিম পুষ্টিকর ও স্বা’স্থ্যকর একটি খাবার। কিন্তু এটি অতি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল সম্পন্ন। ১০০ গ্রাম কোয়েলের ডিমে ৮৪৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। যা মুরগির ডিমের চেয়েও বেশি মাত্রার কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ক’রতে চাইলে অথবা যদি কোলেস্টেরল জনিত স’মস্যা থাকে তাহলে কোয়েল পাখির দিন এড়িয়ে চলতে পারেন।
Post a Comment