ক্যামেরা গিলে নিল হাঙর, দেখা গেল পেটের ভেতরের দৃশ্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সমুদ্রের তলদেশের ছবি তোলার জন্য একটি ক্যামেরা রেখে এসেছিলেন এক ডুবুরি চিত্রগ্রাহক। সেই ক্যামেরা গিলে ফেলল ‘টাইগার শার্ক’ বা ‘টাইগার হাঙর’! এরপর কী হলো, সেই গল্পে যাব। কিন্তু তার আগে দেখে একটু আরোচনা হোক এই বিশেষ প্রজাতির হাঙরটি নিয়ে।

রিকুয়েম হাঙরের একটি প্রজাতি টাইগার হাঙর বা টাইগার শার্ক। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘গ্যালিওসারডো কুভিয়ার’। এই হাঙর ‘গ্যালিওসারডো’ প্রজাতির একমাত্র জীবিত সদস্য। এক পূর্ণবয়স্ক টাইগার হাঙর দৈর্ঘ্যে ৫ মিটারেরও বেশি লম্বা হতে পারে।


গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের সমুদ্রে দেখতে পাওয়া গেলেও এদের সব থেকে বেশি দেখা যায় মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের চারপাশে। এই হাঙরের পেটের দুপাশে বাঘের মতো ডোরা কাটা দাগ থাকে। এ কারণেই এদের টাইগার হাঙর বলা হয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাগ অদৃশ্য হতে থাকে।


দল বেঁধে থাকা একেবারেই পছন্দ করে না টাইগার হাঙররা। একা একা নিশ্চুপে শিকার করতে ভালোবাসে। এই হাঙরের খাদ্য তালিকায় রয়েছে মাছ, সিল মাছ, স্কুইড, কচ্ছপ, সামুদ্রিক সাপ, ডলফিন এবং এমনকি অন্যান্য ছোট হাঙ্গরও। সমুদ্রের আবর্জনা এবং পচনশীল খাবার খেতেও পছন্দ করে টাইগার হাঙর। তবে কখনো কখনো এই শিকারি হাঙরকেও শিকার হতে হয়। ঘাতক তিমি দলের সামনে পড়লে বিপদে পড়তে হয় এই হাঙরকে।


সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ পাওয়া একটি ভিডিও। সেখানে ধরা পড়েছে, কীভাবে এক ডুবুরির রেখে আসা ক্যামেরা পেটে পুরল এক টাইগার শার্ক। তবে গলাধকরণ করার পরও বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে অবশেষে ক্যামেরাটি উগরে দিতে বাধ্য হয় হাঙরটি। 


‘জিমি দ্যা কিড’ নামে এক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। হাজারো মানুষ এই ভিডিওটি দেখেছেন এবং মন্তব্য করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জলের তলায় ক্যামেরাটি দেখে কৌতূহলী হয়ে এটির দিকে এগিয়ে আসে হাঙরটি। কাছে এসে ক্যামেরাটিতে কামড় বসায় হাঙরটি। বাগে আনতে না পেরে ক্যামেরাটি গেলারও চেষ্টা করে এই হাঙর। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে হাঙরের পেটের ভেতরের দৃশ্য। সেই ছবি দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নেট দুনিয়ার অনেকেই। তবে কয়েক সেকেন্ড পেটের ভিতরে রাখার পরই ক্যামেরাটি বের করে দেয় হাঙরটি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.