যেসব খাবার থেকে দূরে থাকবেন চল্লিশোর্ধ পুরুষরা



 ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাবারেরে তালিকার দিকে নজর দিতে হয়, তাই কিছু খাবার আছে যেসব থেকে চল্লিশোর্ধ পুরুষরা দূরে থাকবেন। এসব খাবার সুস্বাদু হতে পারে, কিন্তু এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়!


বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার শক্তি আগের মত আর নেই। আপনার মেটাবলিজম কমে যাচ্ছে এবং ব্যায়ামও আগের মত কাজে দিচ্ছে না। মাঝে মাঝে খাবার হজমে সমস্যা হচ্ছে। এই খাবার আগেও খেয়েছেন কিন্তু সমস্যা হয়নি কিন্তু এখন হচ্ছে। এটা কি খাবারের দোষ? না, এটা বয়োবৃদ্ধির সমস্যা। কিছু খাবার আছে যা এই বয়সে আপনার স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে এবং অনেক মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। তাই আপনার বয়স যদি ৪০ এর বেশী হয় তাহলে নিম্নোক্ত খাবারগুলি থেকে দূরে থাকুন।


চল্লিশোর্ধ পুরুষরা যেসব খাবার থেকে দূরে থাকবেন


১। কৃত্রিম চিনি


কৃত্রিম চিনি আসল চিনির চেয়েও বেশী ক্ষতিকর। এসব চিনি খেলে চিনির প্রতি আসক্তি বাড়ে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।


২। মারজারিন


দেখতে মাখনের মত দেখতে, আবার মাখনের চেয়ে সুস্বাদু। কিন্তু মারজারিন মাখনের চেয়েও অস্বাস্থ্যকর। এতে থাকা কৃত্রিম চর্বি আপনার ধমনিতে প্ল্যাক সৃষ্টি করতে পারে ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।


৩। কোমল পানীয়


কোমল পানীয়ে আছে প্রচুর চিনি। এছাড়া ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যারা সবসময় ঝাঁঝ যুক্ত পানীয় পান করে তাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।


৪। ফলের জুস


ফলের জুসেও আছে প্রচুর চিনি। জুস না খেয়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফলে আছে ফাইবার বা আঁশ যা ফলের চিনি খুব ধীরে লিভার শুষে নেয় এবং ফলে ব্লাড সুগার বাড়ে না।


৫। মাফিন ও কাপ কেক


শুধু একটি কাপ কেকেই আছে আপনার প্রতিদিনের বরাদ্দকৃত চিনির চেয়ে বেশী। চিনি বার্ধ্যক্যের প্রক্রিয়া দ্রুত করে।


৬। প্রক্রিয়াজাত মাংস


সসেজ, স্যান্ডুইচের মাংস, ইত্যাদিতে আছে প্রচুর সোডিয়াম এবং এসব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।


৭। নাচো চিজ


নাচোর চিজে প্রচুর কৃত্রিম রং এবং ফ্লেভার। তাই বয়স ৪০ পার হলে এসব খাবার থেকে দূরে থাকা উচিৎ।


৮। পাউরুটি, পাস্তা


সাদা ময়দা দিয়ে তৈরি যে কোন খাবার বর্জন করুন। এমনকি সাদা চাল। এসব খাবার অনেক বেশী পরিশোধিত ফলে এতে কোন পুষ্টি নেই।


৯। প্যানকেক সিরাপ


শুধু প্যানকেকই অস্বাস্থ্যকর, আর এর মধ্যে সিরাপ যোগ করলে তা হয়ে পড়ে আরও বেশী অস্বাস্থ্যকর। এই সিরাপ বানানো হয় হাই ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ দিয়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।


১০। হুইপড ক্রিম


হুইপড ক্রিমে আছে প্রচুর চিনি এবং এটা সত্যিকারের ক্রিম দিয়ে বানানো হয় না। কেক ইত্যাদি খাবারের উপর হুইপড ক্রিম থাকলে তা ফেলে দিয়ে কেক খান।


১১। ফাস্ট ফুড


একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে দু’বারের বেশী ফাস্ট ফুড খেয়েছেন, তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় দ্বিগুণ।


১২। পাস্তা সস


চল্লিশোর্ধ পুরুষরা পাস্তা থেকে দূরে থাকবেন। এবং পাস্তা সস আরও খারাপ। দোকান থেকে কেনা পাস্তা সসে থাকে অতিরিক্ত চিনি, ক্ষতিকর তেল, লবণ, ইত্যাদি।


১৩। ম্যাকারনি এন্ড চিজ বক্স


সুপার শপে বানানো বক্সে ভরা ম্যাকারনি এন্ড চিজ পাওয়া যায়। এগুলোর চিজে থাকে অনেক ফ্লেভারিং, অনেক বেশী লবণ এবং ক্ষতিকর উপাদান পিএইচ থ্যালেইট।


১৪। ওয়াফল


ওয়াফল কে না ভালবাসে? কিন্তু আপনি এখন ৪০, তাই সুস্বাদু খাবার খাওয়ার আগে পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। টোস্টেড ওয়াফল খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং এতে স্বাস্থ্যকর আঁশ নেই বললেই চলে।


১৫। ডায়েট কোক, পেপসি


ডায়েট কোলায় ব্যবহার করা হয় এস্পারটেইম নামক চিনি যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। এই চিনি সাধারণ চিনির চেয়ে ২০০-৬০০ গুণ বেশী মিষ্টি। এই কোলা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে ক্ষতি করবে।


১৬। চাষ করা মাছ


মাছ খুবই স্বাস্থ্য উপকারি খাবার, কিন্তু চাষ করা মাছ নদীর মাছের মত উপকারি নয়। এসব মাছকে কৃত্রিম খাবার দেয়া হয় যার ফলে এসব মাছে ওমেগা-৩ এর চেয়ে ওমেগা-৬ বেশী হয়ে যায় এবং ওমেগা ফ্যাটি এসিডের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।


১৭। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই


ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এ আলুর পুষ্টির পরিবর্তে থাকে শুধু চর্বি আর সোডিয়াম। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর। আলু খাওয়ার স্বাস্থসম্মত উপায় হচ্ছে বেইক করে বা সেদ্ধ করে খাওয়া।


১৮। গো মাংস


আপনি যদি একজন চল্লিশোর্ধ পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার রেড মিট বা গো মাংস খাওয়া কমানো উচিৎ। মাঝে মাঝে খেতে চাইলে খেতে হবে চর্বিহীন মাংস।


১৯। ডোনাট


বয়স ৪০ পার হলে যে ডোনাট খাওয়া ছাড়া উচিৎ সেটা কোন উদ্ভট উপদেশ নয়। শুধু একটি ডোনাটে আছে প্রায় ৩০০ ক্যালরি!


২০। ফ্রোজেন খাবার


ফ্রোজেন পিৎযা থেকে শুরু করে যে কোন ফ্রোজেন খাবারই অস্বাস্থ্যকর। এগুলো খেতে মজার হলেও এগুলোতে আছে অনেক বেশী লবণ এবং অস্বাস্থ্যকর উপাদান।


২১। ডোরিটো


হ্যাঁ, ডোরিটো খুবই মজাদার একটি স্ন্যাক, বিশেষ করে ভাল ডিপ হলে পুরো এক ব্যাগ ডোরিটো একাই খেয়ে ফেলা যায়। কিন্তু ডোরিটোর স্বাদ বৃদ্ধি করতে এতে এম এস জি দেয়া হয়। এছাড়া ডোরিটো খাওয়া শুরু করলে অনেক বেশী খেয়ে ফেলা হয় যা ওজন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।


২২। এনার্জি ড্রিঙ্ক


বয়স ৪০ হয়ে গেলে এনার্জির ঘাটতি হতে পারে কিন্তু তাই বলে এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করবেন না। এনার্জি ড্রিঙ্ক কিডনির ক্ষতি করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.