পুুষ্টিকর দানাশস্য হিসেবে আদর্শ মিলেট জানেন কি?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: চাল-গমে ভরসা নেই? স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? বিশেষ করে যাঁরা ওজন, কোলেস্টেরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাঁদের খাদ্যতালিকায় ওটস, কিনওয়া বেশ জাঁকিয়ে বসেছে ইদানীং। কিন্তু জানেন কি, আমাদের দেশেই মেলে এগুলির অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বিকল্প? আর একগাদা টাকা খরচ করে ভিনদেশের মাটিতে জন্মানো ফল-শস্যের প্রতি ভরসা রাখার কোনও দরকার নেই? বিশেষ করে পুষ্টিগুণের দিক থেকে জোয়ার, রাগি বা বাজরার মতো দানাশস্যগুলির তুলনা মেলা ভার। তবে ফিটনেস এক্সপার্ট বনিতা অশোক বলছেন, মিলেট বিশেষ করে মেনোপজ়ের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো মহিলাদের জন্য আদর্শ। তবে অতিরিক্ত খাবেন না, দিনে একবার মিলেট খাদ্যতালিকায় থাকলেই আপনি সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ উপভোগ করতে পারবেন।


কীভাবে মিলেট খাওয়া যায়ঃ অ্যামারান্থ আর গুড় দিয়ে লাড্ডু বানানো সম্ভব। জোয়ার বা বাজরার রুটি তৈরি হয়। রাগি আটা আপনি রোজের ব্যবহারের গমের আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি বানিয়ে খেতে পারেন। স্মুদি, পরিজ বা পরোটা বানিয়েও তা খাওয়া যায়। বিশেষ করে যাঁদের ল্যাকটোজ় বা গ্লুটেনে অ্যালার্জি আছে, তাঁদের জন্য মিলেট খুব ভালো বিকল্প।


অ্যামারান্থ বা রাগি পরিজ তৈরির রেসিপি


উপকরণ :

২ টেবিলচামচ অ্যামারান্থ/ রাগি

২ কাপ দুধ

১ কাপ পছন্দের ফল ও বাদামের কুচি (তার মধ্যে কলা, স্ট্রবেরি, আপেল, কমলালেবু, খেজুর ইত্যাদি থাকতে পারে)

সামান্য দারচিনির গুঁড়োইচ্ছে হলে এক চাচামচ মধুও দিতে পারেন


পদ্ধতি : কোনও গভীর পাত্রে অ্যামারান্থ ও দুধ দিয়ে ফোটাতে আরম্ভ করুন।আঁচ কম রাখবেন, মাঝে মাঝেই কাঠের হাতা দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

অন্তত মিনিট ১৫ মিনিট আঁচে রাখলে মিলেট নরম হয়ে যাওয়ার কথা।তখন উপর থেকে দারচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।ঠান্ডা বা গরম দু’ভাবেই খাওয়া যায়।খাওয়ার আগে উপর থেকে মধু আর ফলটা ছড়িয়ে নেবেন।দরকারে আরও খানিকটা দুধ মিশিয়ে ঘনত্বটা নিজের ইচ্ছেমতো করে নেওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.