জানেন কি ইন্টারভিউয়ে প্রার্থীর সর্বনাশ করে যেসব অঙ্গভঙ্গি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আপনার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারভিউয়ের একটা চিঠি চলে আসতেও পারে। আপনি নিশ্চয়ই দারুণ উত্তেজিত হয়ে পড়বেন। যাবতীয় প্রস্তুতিও হয়তো নিয়ে ফেলবেন। কিন্তু আপনার কিছু অঙ্গভঙ্গি সর্বনাশ করে ফেলতে পারে। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন পরামর্শ। ইন্টাভিউয়ের বসে এমনই কিছু অঙ্গভঙ্গির কথা জেনে নিন, যা চাকরির পাওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট করে।


১. দৃষ্টিকটু অঙ্গবিন্যাস : কিভাবে বসছেন তার দিকে খেয়াল দিন। এমনকি প্রশ্নকর্তাদের সামনেই যে স্মার্টভাবে বসবেন তা নয়। ওয়েটিং রুমেও আপনার দিকে দৃষ্টি রাখবে কর্তৃপক্ষ। ঘাড় কুঁজো করে বসে থাকবেন না। আত্মবিশ্বাসীদের মতো মাথা উঁচিয়ে বসে থাকুন।


২. বাজে হ্যান্ডশেক : প্রশ্নকর্তারা প্রার্থীর সঙ্গে ভব্যতাসূচক হ্যান্ডশেক করেন না। তারা প্রার্থীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান। আর দেখতে চান, প্রতিক্রিয়ায় তারা কিভাবে হ্যান্ডশেক করেন। প্রতিক্রিয়া খুব দুর্বল ভাব নিয়ে হ্যান্ডশেক করতে নেই। আবার জোরালো চাপের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতার জানান দেবেন না।


৩. ঘামে ভেজা হাতের তালু : হ্যান্ডশেকের সময় ঘামে ভেজা হাতের তালু আপনার সর্বনাশ ডেকে আনবে। পরিষ্কার ও শুকনো হাতের হ্যান্ডশেক সত্যিকার অর্থেই উষ্ণতাপূর্ণ হয়।


৪. চোখে চোখ সংযোগের অভাব : আত্মবিশ্বাস ও স্মার্টনেসের প্রকাশ ঘটে আই কন্টাক্টের মাধ্যমে। সময়মতো চোখে চোখ না দেওয়া দুর্বলতার প্রকাশ। চাকরির ইন্টারভিউয়ে আই কনটাক্ট অতি জরুরি বিষয়।


৫. অস্থিরতায় ভোগা : স্নায়বিক অস্থিরতার প্রকাশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সাধারণত চুলে হাত বোলানো, দাঁত দিয়ে নখ কাটা, মুখে হাত রাখা ইত্যাদি আচরণের মধ্য দিয়ে স্নায়বিক অস্থিরতা প্রকাশ পায়। এ আচরণে মানসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়।


৬. মনোযোগ বিচ্ছিন্ন ভাব : প্রশ্নকর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় অনেকে এ কাজটি করেন। এদিক ওদিক তাকানোতে মনে হয়, প্রার্থীর মনোযোগ নেই। এ ছাড়া দুই পা নাড়ানো বা বার বার পায়ের ওপর পা তুলে দেওয়া ও নামিয়ে ইত্যাদিতে মনে হতে পারে, আপনি এ চাকরিতে ইচ্ছুক নন।


৭. মুখে হাসি না থাকা : একটা আন্তরিক হাসিতে অনেক কিছু জয় করা যায়। কঠোর মুখে বসে ইন্টারভিউ চলে না। তাই মুখে অনাবিল হাসির ঝলক মাঝে মধ্যেই থাকতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.