অলসরাই বেশি সফল, বলছে গবেষণা

ODD বাংলা ডেস্ক: লুচি গ্রান্সবুরি স্বঘোষিত একজন ‘অলস’ ব্যাক্তি এবং তিনি এর জন্য বেশ গর্ব করেন।

লুচি মেলবোর্নের একজন অভিনেতা। তার দাবি অলস হওয়াকে যতটা খারাপ ভাবা হয়, এটি আসলে ততটা খারাপ নয়।

মজার বিষয় হলো গবেষকরাও তার তত্ত্বকে সমর্থন দিচ্ছেন।

লুচি বলছেন, ‘অলস মানুষেরা বেশি ক্রেডিট ডিজার্ভ করে’। তার দাবি অলসতাকে প্রায়শই নেতিবাচক আচরণ হিসেবে দেখা হয় কিন্তু এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। কারণ এটা আপনাকে :

১. অগ্রাধিকার নির্ধারণে সহায়তা করে

২. বেশ শক্তির যোগান দেয়

৩. এবং কাজ দ্রুত শেষ করতে পথ দেখায় যাতে করে একই কাজ দ্বিতীয়বার করতে না হয়।

লুচির দাবী অনেক মহান উদ্ভাবনের উৎসাহ এসেছে অলসতা থেকেই।

“যেমন ধরুন টেলিফোন। অনেক হেটে হয়তো কারও বাসায় গিয়ে হেলো বলতে হতো”। এ ধরণের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে লুচি একা নন।

মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে প্রায়শই উদ্ধৃত করা হয় যে তিনি বলেছেন কঠিন কাজের জন্য তিনি একজন অলস ব্যক্তিকেই পছন্দ করবেন কারণ কাজটি সহজে করার পথ তারাই খুঁজে বের করবেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাসুদ হোসেইন বলছেন, অলস মস্তিষ্ক মানুষকে পরিশ্রমী করে তোলে। ফলে কাজে সফলতার হারও বাড়ে।

অলস ও অলস নন এমন একদল ব্যক্তিদের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েই মূলত এ ধরনের ফলাফল পেয়েছেন মাসুদ।

অলসদের অনেক সময় নেতিবাচক ভাবে দেখা হয়। অলসদের মস্তিষ্ক অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিলো। এটা গঠনশৈলীর দিক থেকে নয় বরং যখন তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলো তখনকার সক্রিয়তার দিক থেকে এমনটাই জানান প্রফেসর হুসেইন।

তিনি বলেন বিস্ময়কর হলেও সত্য যে অলসদের মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.