কাঁচা না পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা বেশি উপকারী?
ODD বাংলা ডেস্ক: শুধুমাত্র শীতকালেই যে রঙবেরঙের সবজি, ফলে বাজার ভরে যায় এমনটা কিন্তু নয়।
গরমের বাজারেও একাধিক পুষ্টিকর ফলের দেখা পাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্যতম আম। এটা তো শুধু ফল নয়, বাঙালির এক অন্যতম অনুভূতি। আম খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুস্কর। যেমন গরমের শুরুর দিকে কাঁচা আম নুন দিয়ে, বা ডালের সঙ্গে মিশিয়ে, কাঁচার আমের রস খেতেও পছন্দ করেন অনেকে। তেমনই পরের দিকে নানা রকমের পাকা আমের স্বাদ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন বহু মানুষ। কিন্তু কাঁচা না পাকা, কোন ধরনের আম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী জানেন কি?
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আম স্বাস্থ্যের বিশেষ কোনও ক্ষতি করে না। কাঁচা হোক বা পাকা, রোজ একটা করে আম খেলে বরং শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা জরুরি।
কাঁচা আম - এর মধ্যে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। কাঁচা আম যেভাবেই খাওয়া হোক, তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে গ্যালিক অ্যাসিড থাকে। যা গরমকালে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দূর হয়। পটাশিয়াম থাকার কারণে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা আমের সরবত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রুক্ষ, শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই উচিত। কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পাকা আম - এর মধ্যে রয়েছে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিন ও পটাশিয়াম। ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। বিশেষত শিশুদের দাঁত, চুল এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য পাকা আম খুব উপকারী। রোজ একটি করে পাকা আম খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাকা আমের মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। কিন্তু অতিরিক্ত না খাওয়াই উচিত। বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। রোজ কতটা পরিমাণ খাওয়া উচিত, পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খান। অন্যদিকে যাঁরা ওজন কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট ফলো করেন, তাঁদেরও অতিরিক্ত পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment