সত্যিকারের জলপরী নাওমি ট্রট, জলে থাকার জন্য টাকাও পাচ্ছেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মৎস্যকন্যা বা জলপরী একটি শতাব্দী প্রাচীন কাল্পনিক নারী চরিত্র। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লোকজ সংস্কৃতির বিভিন্ন গল্প, আখ্যানে এই নারী চরিত্রটি খুজে পাওয়া যায়।

মৎস্যকন্যা দেখতে অর্ধ নারীর মতো, যার কোমরের নিচের অংশবিশেষ সাধারণ মাছের মতো। কিন্তু উপরের অর্ধাঙ্গ নারীর অবয়াবে গঠিত। মৎস্যকন্যারা সামুদ্রিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও তারা অনেকটা ডলফিন এর মতো জলের উপরের পরিবেশে অভ্যস্ত। দীর্ঘ সময় জলের সংর্স্পশে না থাকলে মৎস্যকন্যারা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এই সব মৎস্যকন্যা বা জলপরী অনেক গল্প আমরা শুনেছি। তবে এবার বাস্তবজীবনের মৎস্যকন্যার খোঁজ পাওয়া গেল ব্রিটেনে।


নাম তার নাওমি ট্রট। এই নারী জলের নীচে চার মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারেন। তবে সেটা একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ট্রেনিংয়ের পরে তিনি এটা করতে পেরেছেন। দেশটির ব্রিস্টল নগরীতে বাস করেন নাওমি। ৩৪ বছরের এই তরুণী পেশায় একজন আর্কিওলজিস্ট।


পেশায় আর্কিওলজিস্ট হলে নাওমি নেশায় মৎস্যকন্যা। সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মৎস্যকন্যা হিসেবে পারফর্ম করেন তিনি। বাকি দিনগুলো চাকরি করেন। তবে তিনটা দিন মৎস্যকন্যা হয়ে বাচ্চাদের আনন্দ দেন নাওমি। জলে মৎস্যকন্যার সাজে অন্য জলজ প্রাণীদের সঙ্গে সাঁতার কাটেন তিনি।


২০১৯ সাল থেকে মৎস্যকন্যা হিসেবে পারফর্ম করে আসছেন নাওমি। প্রতি শিফটে সাধারণত ২০ মিনিট পারফর্ম করতে হয় তাকে। খেয়াল রাখতে হয়, জলে থাকা অন্য জীবরা যেন আহত না হয়! ছোট থেকেই জল থাকতে ভালোবাসতেন নাওমি। তবে জলপরী হিসেবে পারফর্ম করবেন বলে কখনো ভাবেননি। বাস্তবের জলপরী হয়ে উঠতে তাকে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.