চাঁদের দু’দিক কেন এত আলাদা, এতদিনে হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমরা সবসময় চাঁদের একটা দিক দেখতে পাই।


উলটো দিক সবসময় অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। দুই দিকের ভূমিরূপ সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু কেন এই তফাত? সেই রহস্যই উদঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। 

তাঁরা জানালেন, ৪৩০ কোটি বছর আগে প্রাচীন উল্কার আঘাতে চাঁদের এই দশা। আঘাত এতটাই প্রবল ছিল, যে তা চন্দ্রপৃষ্ঠের একদিকের চেহারাই পালটে দিয়েছে। ফলে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য, দুই দিক এত আলাদা। চাঁদের যে দিকটা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সে দিকটা বিস্তীর্ণ, লাভা প্রবাহের গাঢ় ছাপ রয়েছে। আর উল্টো দিকটা ভর্তি বিশাল বিশাল গর্ত দিয়ে, লাভার চিহ্ন সেখানে নেই বললেই চলে। 


‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামক এক জার্নালে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪৩০ কোটি বছর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে আছড়ে পড়ে বিশাল উল্কা। উল্কাপাতের আঘাত এতটাই জোরাল ছিল যে তাতে চাঁদের উপরিস্তরের ছবি বদলে গেছে অনেকটাই। নতুন গবেষণায় এও দাবি করা হয়েছে, ওই উল্কাপাতেই সৃষ্টি হয়েছে চাঁদের দৈত্যাকার সাউথ পোলএটিক্যান (এসপিএ) বেসিনের। কোনও কিছুর আঘাতে সৃষ্ট গর্তের মধ্যে গোটা সৌরজগতে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম। 

এই উল্কাপাতের ফলে প্রচুর পরিমাণ তাপশক্তির উদ্ভব হয়েছিল। যে তাপ চাঁদের অভ্যন্তরেও প্রভাব ফেলে। এই তাপপ্রভাবের মধ্যে ছিল এমন কিছু পদার্থ যা পৃথিবীতে অজানা, বলছেন বিজ্ঞানীরা।           

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.