আপনারও আঙ্গুল ফুলে গিয়ে হালকা ব্যাথা হচ্ছে, তবে আজ থেকেই সাবধান হোন হতে পারে এই মারাত্মক সমস্যা
ODD বাংলা ডেস্ক: এই গরমে ঘুম থেকে উঠলে কখনও কখনও আমাদের হাতের আঙ্গুল ফুলে যেতে শুরু করে। এর মানে হল আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়েছে। খারাপ জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই রোগগুলির বাড়ত থাকে। যার মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও রয়েছে।
ইউরিক এসিড কি?
ইউরিক অ্যাসিড রক্তে পাওয়া একটি রাসায়নিক। শরীরে পিউরিন নামক পদার্থ ভেঙ্গে গেলে এটি তৈরি হয়। শরীরে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিডের বেশিরভাগই রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং কিডনির মাধ্যমে নির্গত হয়। যখন ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের হতে পারে না, তখন বাত, জয়েন্টে ব্যথা, গাউট এবং প্রদাহের সমস্যা হয়।
শরীরে ইউরিক এসিড কিভাবে তৈরি হয়?
ইউরিক অ্যাসিড কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি প্রোটিন থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড আকারে শরীর দ্বারা প্রাপ্ত হয়। ইউরিয়া ইউরিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয় এবং হাড়ের মধ্যে জমা হয়। হাড়ের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে গাউট হয়, যা এক ধরনের আর্থ্রাইটিস। এই সমস্যার কারণে জয়েন্টে ব্যথার অভিযোগ থাকে।
ইউরিক এসিড বৃদ্ধির লক্ষণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুতে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি ধরা পড়ে না। ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি কীভাবে চিনবেন তা বেশিরভাগ লোকই জানেন না। তবে এমন কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা দেখে আপনি এর বৃদ্ধি শনাক্ত করতে পারবেন।
ইউরিক এসিডের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল-
আঙ্গুল ফুলে যাওয়া, জয়েন্টে ব্যথা, উঠতে এবং বসতে অসুবিধা, জয়েন্টে পেইন, আঙ্গুল ফোলা ও ব্যথা। এই লক্ষণগুলি একেবারে প্রাথমিক স্তরে শরীরে দেখা যায়।
৪টি খাবার যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়
দই, পালং শাক এবং শুকনো ফল। শুকনো ফল, দই, ভাত, মসুর ডাল এবং পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।
দুধ-ভাত
আপনি যদি ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ দেখতে পান, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে দুধ বা ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ রাতে এসব খাবার খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করে।
খোসা ছাড়ানো মসুর ডাল
ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে খোসা ছাড়ানো মসুর ডাল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ডালের খোসা ছাড়ানো মসুর ডাল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। মাংস, ডিম এবং মাছ শরীরে ক্রমবর্ধমান ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ডিম, মাংস ও মাছ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
পানীয় জলেও বিশেষ যত্ন নিন
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম অনুযায়ী জল পান করতে হবে। খাবার খাওয়ার সময় জল খাবেন না, খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা পর জল পান করুন।
Post a Comment