পেঁপে খাওয়ার আগে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নিন নেপথ্য কারন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কিৎসকরা রোজকার ডায়েটে পেঁপে রাখার পরামর্শ দেন। এটি খুব উপকারী ফলও বটে। তবে সেটা কিন্তু যাঁরা ওজন কমাতে চান, কিংবা লিভার ভাল রাখতে চান তাঁদের জন্য পেঁপে সত্যিই কার্যকরী। কিন্তু এই পেঁপেই অন্যদিকে আপনর শরীরের বেশ কিছু রোগকে আরও প্রকট করে তুলতে পারে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই কিন্তু। 

 

মধ্যাহ্নভোজের পর বা ব্রেকফাস্টের পর কী হালকা চাট মশলা ছড়িয়ে পেঁপে খাচ্ছেন...মনে রাখবেন নিজের অজান্তেই কিন্তু স্বাস্থ্যের বিরাট ক্ষতি করে ফেলছেন! হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, চিকিৎসকরা রোজকার ডায়েটে পেঁপে রাখার পরামর্শ দেন। এটি খুব উপকারী ফলও বটে। তবে সেটা কিন্তু যাঁরা ওজন কমাতে চান, কিংবা লিভার ভাল রাখতে চান তাঁদের জন্য পেঁপে সত্যিই কার্যকরী। কিন্তু এই পেঁপেই অন্যদিকে আপনর শরীরের বেশ কিছু রোগকে আরও প্রকট করে তুলতে পারে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই কিন্তু। নিশ্চই ভাবছেন তো, এতদিন ধরে জেনে এসেছেন পেঁপে শরীরের পক্ষে কত উপকারী, আর আজ শুনছেন যে, এই ল থেকেও ঘটতে পারে বিপদ! তাহলে জেনে নেওয়া যাক পেঁপের ক্ষতিকারক দিকগুলো কী কী। 


আমরা সাধারণত জানি যে,  গর্ভবতী মহিলাদের পেঁপে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারন পেঁপেতে যে ল্যাটেক্স এবং প্যাপেইন থাকে তা জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে। তাই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পেঁপে খেতে বারণ করা হয়। যাদের হৃদস্পন্দনের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণ পেঁপে খেলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে আপনার কিডনিতে যদি পাথর থাকে তাহলে অবশ্যই পেঁপে এড়িয়ে চলা উচিত। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। আর এই ভিটামিন সি অত্যধিক গ্রহণের ফলে ক্যালসিয়াম অক্সালেট দ্বারা কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার একটা সম্ভবনা থাকে। 


বিশেষজ্ঞরা ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু যাঁদের হাইপোগ্লাইসোমিয়ার সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ কম তাঁদের পেঁপে থেকে শতহস্তে দূরে থাকাই শ্রেয়। কারন পেঁপের মধ্যে অ্যান্টি-হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজ কমানোর উপাদান থাকে। সেই জন্যই তো ব্লাডসুগারের রোগীদের পেঁপে খাওয়া ভালো। চিকিৎসকদের মতে, যে কোনও ফল খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভাল। তবে প্রত্যেকটি ফলেরই কিছু সাইড এফেক্টস বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই  আপনার শরীরে যদি বিশেষ কোনও রোগ থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া দাওয়া করা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.