ক্যাসিয়া রেনিজেরা আছে জাহাঙ্গীরনগরে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শ্বেতশুভ্র ক্যাসিয়া রেনিজেরা ফুলের আদি নিবাস জাপান। এটি জাপানের জাতীয় ফুল হিসেবেও স্বীকৃত। ফুলটির স্নিগ্ধতা আর রঙের বৈচিত্র্য খুব সহজেই আর্কষণ করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। ভিনদেশি এ প্রজাতির ফুল দেখে অবশ্যই মুগ্ধ হতে হবে যে কাউকে। 

ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘বার্মিজ পিংক ক্যাসিয়া’। মধ্যম আকারের এ বৃক্ষের উচ্চতা সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার লম্বা। চিকন ডালগুলো ঝুলে থাকে। রোপণের চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বৃক্ষে নয়নাভিরাম শ্বেতশুভ্র গোলাপি ফুল আসে।


ক্যাসিয়া রেনিজেরা আমাদের কাছে তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত। বর্ষা ছাড়া বছরের প্রায় সব সময়ই পাতাবিহীন থাকে গাছটি। ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকে শুরু করে এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ফুলের দেখা মেলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাহারি রঙের ফুলগুলো সাদা হয়ে ঝড়ে যায়। ফুল থেকে যে বীজ হয় তা আমাদের দেশের অনেকটা শিমের মতো দেখতে, কালো রঙের লম্বা লম্বা ফল।


আমাদের দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এই ফুলের গাছ রয়েছে। রাজধানী ঢাকায় ইট-পাথরের অট্টালিকায় থাকতে থাকতে যারা হাঁপিয়ে উঠেছেন, তাদের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনাবিল আনন্দ উপভোগের স্বর্গরাজ্য। প্রকৃতির রূপ, রস, সুবাস আর রঙের আভা প্রবলভাবে মোহিত করবে আগন্তুককে। এর মধ্যে ভিনদেশি ফুল ক্যাসিয়া রেনিজেরা ক্যাম্পাসের প্রকৃতিতে এক ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করেছে, যার প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝেও।


বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে, পুরাতন কলাভবনের ভেতরে, বেগম সুফিয়া কামাল হলের সামনে, শহীদ সালাম-বরকত হলের সামনে, জহির রায়হান অডিটোরিয়াম, চৌরঙ্গীসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ক্যাসিয়া রেনিজেরা। 


অদ্ভুত সুন্দর এই ফুল কতোটা সুন্দর তা কেবল ছবি দেখে বোঝা সম্ভব নয়। বসন্তের শেষ ভাগে গাছটিতে দেখা মেলে মঞ্জুরির। প্রতি বছরই এ সময়টাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরাসহ দর্শনার্থীরা এর সৌন্দর্য অবলোকনে ভিড় জমায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.