৮ ঘন্টার কম ঘুমান, এই ৪ টি জিনিস খেয়াল রাখবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রোজকার কাজের চাপের কারণে বা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারেন না অনেকেই। শরীর এবং মন কে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে ঘুমের যে কতটা প্রয়োজন তা আমাদের কারোর ই অজানা নয়। কিন্তু সবসময় পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকেনা। আর সেকারনেই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারিনা অনেকময়। কিন্তু এর একটি সলিউশন আছে। মনোবিজ্ঞানীরা এক অন্য রাস্তার সন্ধান দিচ্ছেন। যাকে বলে ‘পলিফেজিক স্লিপ’।


আমরা প্রত্যেকেই রাতে একটানা ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাই। কিন্তু যারা এই সময়টুকু পাইনা তারা সারাদিনে খেপে খেপে এই ঘুমকে কমপ্লিট করতে পারেন। অর্থাৎ ধরুন ৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর ৩০ মিনিট করে ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এভাবে ঘুমালে আপনার শরীরে না ঘুমানোর জন্য যে অপকারী প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল তা কমতে থাকে এবং আপনার শরীরে ঘুমের চাহিদাও মিটতে থাকে।


অন্যভাবে বলতে গেলে ‘পলিফেজিক স্লিপ’এর অর্থ সারা দিনে একাধিকবার ঘুমানো। এভাবেই নাকি মাত্র ৪ ঘণ্টা বা তার সামান্যে বেশি সময় ঘুমিয়েও সক্ষম থাকতে পারি আমরা।


১) প্রতি ৬ ঘণ্টা অন্তর ৩০ মিনিট ঘুমান। (ডাইমেক্সিওন মেথড)


২) প্রতি ৪ ঘণ্টা অন্তর ২০ মিনিট ঘুমান। (দ্য উবেরম্যান মেথড)


৩) রাতে একটানা দেড় ঘণ্টা থেকে ৩ ঘণ্টা ঘুমান। এর পর সারা দিনে ৩ বার ২০ মিনিট করে ঘুমান। (দ্য এভরিম্যান মেথড)


৪) রাতে একটানা ৫ ঘণ্টা ঘুমান। এর পর সারা দিনে এক বার দেড় ঘণ্টা ঘুমান।


তবে উপরের পদ্ধতির সঙ্গে একটি সতর্কবার্তাও জুড়ে দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, যে হেতু আমাদের প্রত্যেকের শারীরিক গঠন ও কার্যক্ষমতা আলাদা হয় সেহেতু ‘পলিফেজিক স্লিপ’ সকলের ক্ষেত্রে সফল না-ও হতে পারে। ফলে সারা দিনে কম ঘুমোতেই পারেন, যদি তা আপনার শরীরে সহ্য হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.