অকালে বুড়িয়ে যাচ্ছেন, ঘুম কম হচ্ছে না তো?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গবেষকদের মতে, ঘুম খারাপ হলে মানুষের নানান সমস্যা হয়। এমনই একটি সমস্যা হল নিজেকে বয়স্ক মনে হওয়া। তাই ঘুমের সমস্যাগুলির চিকিৎসা করলে বা তা নিয়ে সতর্ক থাকলে বার্ধক্যজনিত সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যায়।


সকাল ঘুম থেকে উঠে এক মুহূর্ত শান্তি নেই। শুরু হয়ে যায় দৌড়াদৌড়ি। তাড়াহুড়ো করে সংসার সামলে অফিসে বের হওয়া। তারপর সারাদিন কাজের চাপ। সারাদিন খাটনির পর বাড়ি ফেরা। ফিরে সব সামলে ঘুমাতে ঘুমাতে বেজে যায় রাত ২টো। প্রতিদিন রাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার বেশি ঘুম হয় না। এসবের মাঝে বাড়তি পাওনা বলতে মানসিক চাপ। অফিসে কাজের চাপ, সংসারে অশান্তি, ফ্ল্যাটের ইএমআই, বাচ্চার পড়াশোনা- সব নিয়ে নানা রকম মানসিক চাপ চলতে থাকে। আর এত কিছুর মধ্যে আবার শরীরে একের পর এক বেড়েই চলেছে রোগ। তার উপর ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একেবারে বয়স্ক বলে মনে হচ্ছে। গবেষকরা মনে করছেন এমনটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়।


গবেষকদের মতে, ঘুম খারাপ হলে মানুষের নানান সমস্যা হয়। এমনই একটি সমস্যা হল নিজেকে বয়স্ক মনে হওয়া। তাই ঘুমের সমস্যাগুলির চিকিৎসা করলে বা তা নিয়ে সতর্ক থাকলে বার্ধক্যজনিত সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যায়।


মোট ৪ হাজার ৪৮২ জন ব্যক্তির উপর একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল। গবেষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের নানান প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। তাঁদের জিজ্ঞেস করা হয়- স্মৃতিশক্তি, স্বাধীনতা, অনুপ্রেরণা এবং কার্যকলাপের নেতিবাচক পরিবর্তন সম্পর্কেও। সেই উত্তরপত্র দেখে গবেষকদের মতে, যাঁরা ঘুমকে সবচেয়ে খারাপ নম্বর দিয়েছেন তাঁরাই সবথেকে বেশি বয়স্কবোধ করেন। তাই শরীর ঠিক রাখার জন্য ঘুম খুবই জরুরি। 


ভালো ঘুমের জন্য কী করবেন?


ভালো ঘুমের জন্য ভালো বিছানা থাকা উচিত। বিছানা ভালো হলেই শোয়া হবে ভালো। তবেই মিটবে শরীরের নানান সমস্যা। আর ঘুমের জন্য এমন একটি ঘর বেছে নিন যেখানে আলো কম যায় এবং আওয়াজও ঢোকে কম।

ঘরের আবহাওয়া গরম হলে ঘুম আসতে চাইবে না, তাই ঘর হতে হবে শীতল। তবে সবাইকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকতে হবে এমন নয়। শুধু এমন ঘর বাছুন যেখানে অন্য ঘরের তুলনায় তাপমাত্রা কম থাকবে।

ঘরে আলো যত কম হবে, তা ঘুমের জন্য ততই ভালো। তাই চেষ্টা করুন ঘরের আলো নিভিয়ে রাখার। আর অন্ধকার ঘরে শুতে সমস্যা হলে নাইট বাল্ব জ্বালিয়ে রাখতে পারেন।

ভালো ঘুমের জন্য দরকার এক্সারসাইজ। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এক্সারসাইজ করলে ঘুম খুব ভালো আসে।

প্রাণায়াম করতে হবে। এই প্রাণায়াম বাড়াতে পারে মনোসংযোগ। আপনার মন থেকে মেটাতে পারে যতসব নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা।

কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবেই। নইলে শরীর খারাপ হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। তাই এবার থেকে ভালো ঘুমের চেষ্টা করুন। আর সব কিছু করেও যদি ঘুম ঠিক করে না আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.