পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বক থেকে সরায় বয়সের ছাপ! জেনে নিন কী রূপচর্চায় জনপ্রিয় 'গুয়ে-শা' পদ্ধতি আসলে কী!
ODD বাংলা ডেস্ক: রূপচর্চায় বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় 'গুয়ে-শা' পদ্ধতি। বিশেষ চিনা পদ্ধতি ত্বককে মসৃণ করতে ও লালভাব দূর করতে বেশ উপকারী। এই পদ্ধতির বিশেষত্ব হল এখানে প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবহার হয় না। কেবলমাত্র বিশেষ পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করে ও কিছু বিশেষ সামগ্রীর ব্যবহার করে মুখ, ঘাড়, গলা ও কাঁধের যত্ন করা হয়। নির্মূল করা হয় ত্বকের ব্ল্যাকহেডস ও রেডনেস। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী এই বিশেষ পদ্ধতি ও কী কী এর উপকারিতা। 'গুয়ে-শা' পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় একটিই ম্যাসাজের জেল। সাধারণক আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে তৈরী হয় এই জেল। তবে ত্বকের ধাত বুঝে জেলের প্রকারভেদ হতে পারে। এছাড়া ব্যবহার করা হয় ক্রিস্টাল, পশুর শিং ও হাড় থেকে তৈরি কিছু বিশেষ আকারের মসৃণ পাথর জাতীয় জিনিস। বিশেষ পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করে বার করে আনা হয় ত্বকের বর্জ্য পদার্থ। আসলে কী কী করে 'গুয়ে-শা' পদ্ধতি!
ত্বকের বর্জ্য পদার্থ বার করে
এই পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করে বার করে আনা হয় ত্বকে জমে থাকা সমস্ত বর্জ্য পদার্থ। ত্বকে জমে থাকা মরা চামড়া, ব্ল্যাক হেডস ইত্যাদি বার করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ ও ঝকঝকে।
দূর করে বয়সের চিহ্ন
বিশেষ পদ্ধতির ম্যাসাজ ত্বককে টানটান করে। দূর করে বয়সের চিহ্ন। নিয়মিত এই রূপচর্চা ফাইন লাইনস ও রিঙ্কেলের সমস্যা দূর করে।
ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি
যেহেতু এই ম্যাসাজ ত্বককে স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেয় ফলে সহজেই সরে যায় ডার্ক সার্কেলস বা চোখের নীচের কালো দাগ। ত্বক থেকে ফ্লুইড বেরিয়ে যাওয়ার ফলে তরতাজা থাকে ত্বক।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
বিভিন্ন ক্রিম বা প্যাক ব্যবহার না হওয়ার ফলে এই পদ্ধতি ত্বকের ওপর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে না।
Post a Comment