ইরাবতী নদীর নামেই ওর নাম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বাদামি রঙের ছোট্ট একটি প্রাণী। ওকে দেখা মেলে—রমনা পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সাতছড়ি-লাউয়াছড়া-কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, এমনকি রাঙামাটির সাজেক—সবখানেই। সুন্দরবনসহ দেশের বড় সব বনে তো আছেই। 

বাদামি বর্ণের মায়াবী ছোট্ট প্রাণীটি হলো এ দেশের সচরাচর দৃশ্যমান স্তন্যপায়ী প্রাণী চোরকাটা বা কোটা। অন্য কথায় বাদামি কাঠবিড়ালি। ইংরেজি নাম ইরাবতী স্কুইরেল বা হোয়ারি-বেলিড হিমালয়ান স্কুইরেল। মিয়ানমারের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ইরাবতী নদীর নামে এর ইংরেজি নাম। সিউরিডি গোত্রের প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম Callosciurus pygerythrus। 


চোরকাটার দেহ লম্বা ও আকার মাঝারি। প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণীর দেহের দৈর্ঘ্য ২১ সেন্টিমিটার (সেমি) ও লেজ ১৮ সেমি। দেহের ওপরের অংশের লোমের রং গাঢ় বা লালচে-বাদামি থেকে ধূসরাভ-বাদামি। দেহের নিচটা ফ্যাকাশে ধূসর বা সাদাটে ধূসর। কোমরের কাছে সাদাটে পট্টি থাকতে পারে। লেজের আগা বাদামি। 


সুন্দরবনসহ দেশের প্রায় সব ধরনের বনাঞ্চল, বাগান, পার্ক ও ঘন গাছপালা সন্নিবেশিত গ্রামাঞ্চল এলাকায় ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। 


দিবাচর প্রাণীগুলো মূলত বৃক্ষবাসী, তবে মাঝেমধ্যে মাটিতেও নামে। সচরাচর একাকী বা জোড়ায় দেখা যায়। ফল, পাতা, শাকসবজি, বাদাম, গাছের ছাল, ফুল, ফুলের রস ইত্যাদি খায়। খেজুরের রস খেতে খুব পছন্দ করে। এ ছাড়া গাছের গায়ে জন্মানো লাইকেন বা ছত্রাক, কীটপতঙ্গ ও অনেক সময় ছোটখাটো মেরুদণ্ডী প্রাণীও খেতে পারে।


এরা সচরাচর বছরে একবার বাচ্চা দেয়, মার্চ থেকে জুলাইয়ে। শুকনা ঘাস, পাতা ও ছোট ছোট কাঠি জড়ো করে গাছের মগডালে অগোছালো গোলগাল বাসা গড়ে। বাসার ভেতরে অন্দরমহল থাকে এবং ঢোকার রাস্তা থাকে এক পাশে। বছরে একবার তিন–চারটি বাচ্চা প্রসব করে।


ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ এটি , নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও দক্ষিণ চীনের আবাসিক প্রাণী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.