যেখানে বিমান অবতরণ করে ট্রেনের সময়সূচি মেনে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দ্রুতগামী আরামদায়ক যানবাহনের মধ্যে নিঃসন্দেহে বিমান অগ্রগণ্য৷ বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজন বিশাল ফাঁকা রানওয়ে। সে দিক দিয়ে দেখলে নিউজিল্যান্ডে এমন এক বিমানবন্দর রয়েছে যা অত্যন্ত ঝু্ঁকিপূর্ণ এবং বিপজ্জনক।

নিউজিল্যান্ডের গিসবোর্ন শহরের ঠিক বাইরের দিকে এই বিমানবন্দরটি অবস্থিত। এটি নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের পূর্ব উপকূলে গিসবোর্ন শহর থেকে ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে এলগিন শহরতলিতে অবস্থিত।


এই বিমানবন্দরের রানওয়ের সঙ্গে একটি রেলপথ সংযুক্ত রয়েছে। রানওয়ের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে সেই রেলপথ। ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী গিসবোর্ন বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান অবতরণের সময়সূচি তৈরি করা হয়।


গিসবোর্ন বিমানবন্দরের আয়তন প্রায় ১৬০ হেক্টর। এটি নিউজিল্যান্ডের একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর। বার্ষিক প্রায় ৬০ টি আঞ্চলিক বিমান ওঠানামা করে এবং প্রায় ১৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন এই বিমানবন্দরে৷


তিনটি ঘাস বিছানো রানওয়ের সঙ্গে একটি প্রধান রানওয়ে আছে৷ এটি ৪২৯৭ ফুট লম্বা৷ এই মূল রানওয়ের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে ‘পামারস্টোন নর্থ গিসবর্ন রেলওয়ে লাইন’।


বিশ্বের বিপজ্জনক বিমানবন্দর এর তালিকায় অন্যতম এই গিসবোর্ন বিমানবন্দর। রানওয়ের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া রেলপথে ট্রেন চলাচল করে হামেশাই৷ যখন বিমান এবং ট্রেন কাছাকাছি সময়ে ওই স্থানে চলে আসে, তখন যে কোনো একটির যাত্রা স্থগিত রাখা হয়৷


বিষয়টি পড়ে তেমন বিপজ্জনক মনে না হলেও বহু দক্ষ রেলচালক এবং বিমানচালক তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ যখন বিমান এবং রেল একই সময় কাছাকাছি চলে আসে তখন একটি ট্রেন অবতরণকারী বিমান থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরেই অবস্থান করে৷ নিমেষের ভুলে বড়সড় দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়৷


আশার কথা এই, কড়া নজরদারি এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এখনও পর্যন্ত পামারস্টন উত্তর-গিসবোর্ন রেল লাইন দুর্ভাগ্যজনক কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ এই মুহূর্তে, গিসবোর্ন বিমানবন্দরটি শুধুমাত্র আঞ্চলিক বিমানের ওঠানামার জন্য ব্যবহৃত হয়। 


গিসবোর্নে বিমানবন্দর এবং রেলপথগুলো প্রতিদিন সকাল ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চালু থাকে। রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের পর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ে বন্ধ থাকে৷  


ওয়েলিংটন এবং অকল্যান্ড থেকে সরাসরি বিমানপথে গিসবোর্ন দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এবং আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলকে যুক্ত করে।


রোমাঞ্চকর অনুভূতির সাক্ষী হতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন নিউজিল্যান্ডের গিসবোর্ন বিমানবন্দরে৷ বিমান থেকে নামার পর ট্যাক্সিতে যাতায়াত করাই সুবিধাজনক। তবে ট্যাক্সি অগ্রিম বুকিং করতে হবে৷


বিমানবন্দরে শৌচালয়, শিশুর খেয়াল রাখার আলাদা কক্ষ, বিনামূল্যে ওয়াইফাই, গাড়ি রাখার জায়গা রয়েছে৷ বিশ্রামের সুবিধার জন্য ক্যাফেতে কফি, ওয়াইন এবং খাবার সমস্ত কিছুই রয়েছে৷ ইচ্ছে হলে দেখতে পারবেন টিভি, আবার পত্রিকার পাতা উল্টেও দেখতে পারেন৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.