টাইফয়েড থেকে যেসব জটিলতা তৈরি হতে পারে



ODD বাংলা ডেস্ক: সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণই হচ্ছে টাইফয়েড বা টাইফয়েড জ্বর। এই জ্বরের আরেক নাম ‘এন্টারিক ফিভার’। টাইফয়েডের লক্ষণ মৃদু থেকে তীব্র হতে পারে এবং অপর্যাপ্ত চিকিৎসায় এটি জটিলাকার ধারণ করতে পারে।


কারণ


দূষিত খাবার, জল এবং দুধের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে।


ঘরের বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অপরিষ্কার শাক-সবজি ও কাঁচা-ফলমূলও টাইফয়েডের জীবাণুর উৎস হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির মল দিয়ে জল ও খাবার দূষিত হয়ে থাকে।


লক্ষণ


চিকিৎসাধীন থাকলেও টাইফয়েড জ্বর এক-দুই সপ্তাহের বেশি সময়জুড়ে স্থায়ী হতে পারে এবং লক্ষণগুলোও সপ্তাহ অনুসারে ক্রমান্বয়ে দেখা দেয়?


প্রথম সপ্তাহে


* তীব্র জ্বর, ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হতে পারে


* জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা


* শরীর ম্যাজম্যাজ, শরীর ব্যথাসহ শারীরিক দুর্বলতা


* ক্ষুধামন্দা ও বমির ভাব


* কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা, ডায়রিয়া


* জ্বরের সময় রোগীর হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে


দ্বিতীয় সপ্তাহে


* ডায়রিয়া হতে পারে।


* অনেক সময় পেট ফুলে যায় এবং পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। জ্বরের সঙ্গে কাশিও হতে পারে।


* দুই সপ্তাহের মধ্যেও টাইফয়েড না সারলে সংক্রমণ মস্তিষ্কে পৌঁছানোর আশঙ্কা থাকে এবং সেখান থেকে কোমা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


করণীয়


টাইফয়েড জ্বর সন্দেহে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে? সচরাচর রক্ত, প্রয়োজনে মল-মূত্র পরীক্ষা করে টাইফয়েড শনাক্ত করতে হয়। টাইফয়েডের চিকিৎসায় উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হয় এবং বেশির ভাগ সময়েই ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরাপথে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। টাইফয়েডের জটিলতাগুলা মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক হতে পারে। যেমন : অন্ত্রে ঘা হয়ে ছিদ্র তৈরি হতে পারে, যাকে বলে ‘গাট পারফোরেশন’। সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ছাড়া, টাইফয়েড থেকে মেনিনজাইটিস পর্যন্ত হতে পারে? টাইফয়েড শরীরে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তো সৃষ্টি করেই, টাইফয়েড জ্বরে মৃত্যুও হতে পারে। ফলে কোনোভাবেই একে অবহেলা করা যাবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.