জলশূন্যতা রোধে শুধুই কী জল যথেষ্ট?

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  শরীরে সারা দিনের জলশূন্যতা রোধে কখনো এমনও হয় যে সাহরিতে পরিমিত খাবার খাওয়ার পরিবর্তে পেট ভরে ফেলি আমরা জল খেয়ে। আমাদের ভাবখানা এমন হয় যে, এই জল সারা দিন গলা ভেজাবে আমাদের। তবে রোজায় খাদ্যাভ্যাস ও মেন্যু বাছাইয়ে সামান্য পরিকল্পনা আর পরিবর্তনই পারে আপনাকে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে।


কারণ


শরীরে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা তখনই দেখা দেবে, যখন শরীর জল গ্রহণের চেয়ে জল বের হবে বেশি।


আর সে জন্যই রোজায় আমাদের ইউরিন আউটপুট অনেক কমে আসে।


 জলেশূন্যতার লক্ষণ


-    দুর্বলতা


-    প্রচণ্ড তৃষ্ণা লাগা


-    মুখ শুকিয়ে যাওয়া


-    বুক ধড়ফড় করা


-    মূর্ছা যাওয়া


-    অবসাদ ভর করা


করণীয়


জলশূন্যতা কাটিয়ে উঠতে সাহরি ও ইফতারে শুধু জল খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া যাবে না। কারণ জল খাওয়ার পর শরীরের কোষের মধ্যে সরবরাহের পর অবশিষ্ট জল ইউরিনের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তাই রোজায় ভুসিসমেত আটা বা লাল আটা, লাল চাল, ওটস, চিড়া, বাদাম, মিক্সড ডাল, সিরিয়াল, শাকসবজি, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও ফল খেতে হবে। যেন আস্তে আস্তে ভেঙে খাবারগুলো সারা দিন এনার্জি দিয়ে যায় আপনাকে।


ইফতারে প্লেটে রাখুন খেজুর, কয়েক পদের ফল, শসা, দই, চিড়া, মাছ বা মাংসের কাবাব, লাচ্ছি, মাঠা, লাবাং, ছানা, আখের রস, ডাবের জল, আখের গুড়ের সরবত, লেবু জল, কিছু বাদাম, সবজি খিচুড়ি প্রভৃতি।


সাহরিতে খেতে পারেন দুধভাত। কিংবা এক কাপ ননি তোলা বা লো ফ্যাট দুধ। আদা জল বা জিরা জলও খেতে পারেন। রাতের খাবার ও সাহরিতে নির্বাচন করুন সহজপাচ্য খাবার। ভুনা তরকারির বদলে বেছে নিন সবজি ও মাছের ঝোল। শেষ পাতে খান এক কাপ টকদই। এই পরিকল্পনাগুলো সারা দিন আপনার শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.